কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
চলতি বছর ৩৮ হাজার হজযাত্রী হজে যেতে পারছেন না। সৌদি আরব-বাংলাদেশ চুক্তি নির্ধারিত চেয়ে অতিরিক্ত ৩৮ হাজার হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন। নিবন্ধন বাতিল না করলে এসব হজযাত্রী পর্যায়ক্রমে আগামী বছর হজে যেতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে এবার তারা হজে যেতে পারছেন না। বাংলাদেশ ও সৌদি সরকারের মধ্যে সম্পাদিত হজ চুক্তি অনুযায়ী চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে হজে যেতে পারবেন এক লাখ এক হাজার ৭৫৮ জন। কিন্তু রবিবার পর্যন্ত সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন করেছেন এক লাখ ৩৯ হাজার ১৮২ জন। আগামী ৩০ মে পর্যন্ত এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তবে সরকারি কোটায় ১০ হাজার যাওয়ার সুযোগ থাকলেও রবিবার পর্যন্ত নিবন্ধিত হয়েছেন মাত্র চার হাজার ৭৫৪ জন।
এ ছাড়া শর্ত পূরণ না করতে পারায় এবারও তিনটি হজ এজেন্সি মুসলিম ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস (লাইসেন্স নং ১০৬৩,) খাজা এয়ার মিডিয়া সার্ভিসেস লিমিটেড (লাইসেন্স নং ০৮০) ও মেসার্স মাদার ট্রাভেলস ইন্টারন্যাশনালকে (লাইসেন্স নং ০৯৬০) কালো তালিকাভুক্ত করে সৌদি সরকার। সৌদি ও বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সম্পাদিত হজ চুক্তির নীতিমালা অনুযায়ী ১৫০ জন হজযাত্রীর লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে এবং সমঝোতা করে লিড নির্ধারণে ব্যর্থ হয় এই তিনটি হজ এজেন্সি। সেজন্য এই তিনটি হজ এজেন্সির ই-হজ রেজিস্ট্রেশন করতে না পেরে তাদের কালো তালিকাভুক্ত করে সৌদি সরকার। তাই এসব এজেন্সির মাধ্যমে নিবন্ধিত ১৭২ জন যাত্রীর হজে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতি ২০১৬ এবং হজ চুক্তির নিয়ম অনুযায়ী এ তিনটি এজেন্সির অধীনে প্রাক নিবন্ধিত ১৭২ জন হজযাত্রীকে এ বছর হজে পাঠানো সম্ভব হবে না। তবে ওই ১৭২ ব্যক্তি ইচ্ছা করলে ৩০ মে’র মধ্যে এজেন্সি বা বেসরকারি প্রাক নিবন্ধন বাতিলক্রমে সরকারি কোটা পূরণ হওয়ার পূর্বে সরকারিভাবে প্রাক নিবন্ধিত হয়ে এ বছর হজে যেতে পারবেন।
এ বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন প্রতিবেদককে বলেন, ১৭২ হজ যাত্রীর বিষয়ে এখনও তারা কোনও অভিযোগ পাননি। সম্ভবত অন্য লিড এজেন্সিগুলোতে তাদের স্থানান্তর করা হয়েছে। না হলে তারা অভিযোগ পেতেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এবার হজে যেতে পারবেন ৯১ হাজার ৭৫৮ জন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার। গত ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ হজ প্যাকেজের প্রস্তাবনা অনুমোদন করা হয়। এরমধ্যে সর্বশেষ রবিবার পর্যন্ত হজে যাওয়ার জন্য বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪৮৩টি হজ এজেন্সির মাধ্যমে প্রাক নিবন্ধন করেছেন এক লাখ ৩৪ হাজার ৪২৮ জন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক নিবন্ধন করেছেন চার হাজার ৭৫৪ জন।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ যাত্রী কম হওয়া প্রসঙ্গে আনোয়ার হোসেন বলেন, এখনও এক সপ্তাহ সময় আছে।এই সময়ের মধ্যে কোটা পূরণ হয়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি।
খবর বিভাগঃ
ইসলাম
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়