Friday, May 20

কমলগঞ্জে শাহীন কলেজ: এক লাফে বেতন বাড়লো ৫শ টাকা!


সিলেট, শুক্রবার, ২০ মে ২০১৬ :: হঠাৎ করেই শিক্ষার্থীদের বেতন বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগরে অবস্থিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিএএফ শাহীন কলেজে। কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বছরের মাঝামাঝি সময়ে মাসিক বেতন শতকরা ৬০ ভাগ বৃদ্ধি করে ৪৭০ টাকা থেকে ৬১৫ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে কর্তৃপক্ষ। বাড়ানো বেতন জানুয়ারি থেকে কার্যকর করা হয়েছে। এরসঙ্গে বার্ষিক সেশন ফি দ্বিগুণ করা হয়েছে। আচমকা বেতন বাড়িয়ে দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর মাধ্যমে পরিচালিত শমশেরনগর বিএএফ শাহীন কলেজে এ বেতন বৃদ্ধিকে অনৈতিক দাবি করে এর প্রতিবাদে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান অনেক অভিভাবক। জানা যায়, সম্প্রতি বেতন বৃদ্ধির কথা জানিয়ে বিএএফ শাহীন কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি নোটিশ প্রদান করে। নোটিশে বেতন বৃদ্ধির কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়- ‘সম্প্রতি জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন বহুগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। সেইসঙ্গে জীবনযাত্রার ব্যয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিএএফ শাহীন কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সমপর্যায়ের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তুলনায় অনেক কম। এর ফলে দক্ষ, অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বিএএফ শাহীন কলেজে ধরে রাখা ও তাদের দ্বারা অব্যাহতভাবে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে পাঠদান নিশ্চিত করা কঠিন হবে।’ এ কারণে ৪৭০ টাকা থেকে ৬১৫ টাকা করে বেতন বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে বিগত জানুয়ারি মাস থেকে তা কার্যকর এবং এর সঙ্গে ভর্তি/পুনঃভর্তিও দ্বিগুণ করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়। যা ডিসেম্বরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ করতে হবে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর মাধ্যমে সারা দেশে বিএএফ শাহীন কলেজের ৭টি ক্যাম্পাস রয়েছে। শমশেরনগর বিএএফ শাহীন কলেজে নার্সারি থেকে দ্বাদশ শ্রেণীতে বর্তমানে ১৮৯৯ জন শিক্ষার্থী এবং ৯৮ জন শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন। বিএএফ শাহীন কলেজের শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই মধ্যবিত্ত ও নিু মধ্যবিত্ত পরিবারের। বছরের মাঝামাঝি সময়ে এত টাকা বেতন বাড়িয়ে দেয়ায় বিপাকে পড়েছেন এসব শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা। আলাপকালে শিক্ষার্থীর অভিভাবক সুজা মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ ম. মুর্শেদুর রহমান, পৌর কাউন্সিলর মো. আনোয়ার হোসেন, সাংবাদিক নুরুল মোহাইমিন মিল্টন, প্রভাষক আবু সাদাত মো. সায়েম, ইন্দুভূষণ দেব, মিজানুর রহমান, সলমান মিয়া, লাভলী বেগম, আশা রানী দত্ত, চম্পা রানী নাথ, হামিদুল হক চৌধুরী, পংকজ ভট্টাচার্যসহ অনেক অভিভাবক সাংবাদিকদের বলেন, হঠাৎ করে বেতন বৃদ্ধি অভিভাবকদের ওপর একটি বাড়তি চাপ। কর্তৃপক্ষ কোনো নিয়মনীতি না মেনেই বছরের মাঝখানে জুলাই মাসে বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিল তাও আবার ৪শ’ থেকে সোয়া ৬শ’ টাকা। যা একেবারেই অনৈতিক। তারা বলেন, হঠাৎ করে বেতন বৃদ্ধি করা উচিত হয়নি। অভিভাবকরা বলেন, মধ্যবিত্ত সীমিত আয়ের পরিবারের জন্য বেতন বৃদ্ধি একটা ধাক্কা। যদি একান্তই বেতন বৃদ্ধির প্রয়োজন হয় তাহলে অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ২শ’ টাকা বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়া যেত। কয়েকজন অভিভাবক জানান, শিগশিগই বেতন বৃদ্ধির প্রতিবাদে অভিভাবকরা সভা করে পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণ করবেন।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়