কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
দেশীয় সফটওয়ারের প্রতি মানুষের আস্থা রাখতে পারছে না। আর এর ফলে দেশের ব্যাংকসহ বিভিন্ন দেশীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে স্থানীয় সফটওয়্যারগুলো উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ব্যবহৃত হয় না। এই অনাস্থার কারণেই দেশীয় সফটওয়্যার শিল্পও বিকশিত হচ্ছে না। দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতা ও আইটি উদ্যোক্তারা এমন কথাই জানিয়েছেন।
শনিবার রাজধানীর এক হোটেলে ব্যাংকিং ও ফিন্যান্স বিষয়ে আয়োজিত ‘বিজটেক বিটুবি কনফারেন্স’ এ ব্যবসায়ী নেতারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন। এ সময় তারা এ সঙ্কট নিরসনে সফটওয়্যার ব্যবসায়ীদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
আলোচনায় ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাতলুব আহমাদ বলেন, ‘দেশীয় বায়ারদের ট্রাস্ট অবশ্যই তৈরি করতে হবে, কারণ এটা বেসিক ফ্যাক্টর। এটা চোখে দেখা যায় না। ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান যাতে আইটি বেস হতে পারে এ জন্য লোকাল আইটি কোম্পানির সঙ্গে কাজ করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রতিবেশি ভারতের চাইতে আমাদের আইটি খাতের গতি শ্লথ। বিদেশের অনেক আইটি কোম্পানি আমাদের দেশের আইটি কম্পানির পরে এসেও অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। এর কারণ আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো কুইক মানির জন্য লোভে পড়ে যায়। এ সেক্টরের উন্নতি করতে হলে সংশ্লিষ্টদেরই আগে নিজেদের সে অনুযায়ী উন্নতি করতে হবে।’
বিদেশে বড় কোম্পানির সঙ্গে দরকার হলে জয়েন্ট ভেঞ্চারে কাজ করুন, পেছনে তাকাবেন না বলে আইটি উদ্যোক্তাদের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি হোসেন খালেদ বলেন, ‘ট্রাস্টের অভাবের কারণে দেশীয় সফটওয়্যার শিল্প বিকশিত হতে পারছে না। এজন্য আগে নীতি ঠিক করতে হবে।’
প্যানেল আলোচক হিসেবে গ্রিন ডেল্টা ইন্সুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারজানা চৌধুরী বলেন, ‘লোকাল কোম্পানিগুলো একসঙ্গে কাজ করলে উভয়েরই লাভ হয়।’ এ সময় তিনি দেশের ইন্স্যুরেন্স খাত সম্পূর্ণ অটোমেশনের আওতায় আনার জন্য আহ্বান জানান।
বেসিসের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান সোহেল বলেন, ‘দেশেও সমাদর পাওয়ার সম্ভাবনা আমাদের আছে। এ জন্য গ্রাহক ও উদ্যোক্তা দু’জনকেই এগিয়ে আসতে হবে।’
খবর বিভাগঃ
তথ্য প্রযুক্তি
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়