কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
নিজের ঘরের সৌন্দর্য কে না দেখতে চায়। আর এই সৌন্দর্যের মাত্রাটা দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে বাহারি রঙের নান্দনিক কার্পেট বা গালিচা। বাংলাদেশে এটি শতরঞ্জি নামেও পরিচিত। সুন্দর কার্পেট শুধু আরামদায়ক এবং জাঁকজমক অনুভূতিই দেবে না, আপনার ঘরের পরিবেশটাকেই বদলে দেবে। আসুন জেনেই কীভাবে কার্পেটের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে ঘর সাজানো যায়।
পছন্দসই কার্পেট নির্বাচন
-কার্পেট ঘর সাজানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। নিজের পছন্দমত কার্পেট খুঁজে পাওয়া কঠিন কাজগুলোর মধ্যে একটি। তাই সর্বপ্রথম কাজ হচ্ছে, ঘরের সঙ্গে মানানসই নির্দিষ্ট রঙের কার্পেট নির্বাচন করা। এরপর কার্পেটের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে ঘর সাজানোর অন্যান্য জিনিসপত্র কিনতে পারেন।
-কার্পেটের আকার দৃশ্যত ঘরের সাজসজ্জায় এবং ভালো লাগার অনুভূতিতে প্রভাব ফেলে। বড় আকারের কার্পেটের দাম বেশি। পাশপাশি ঘরের চেয়ে কার্পেট যেন অনেক ছোট না হয়। তাই কক্ষের আকার অনুযায়ী সঠিক মাপের কার্পেটটি নির্বাচন করাটা জরুরি। সোফা বা বসার জায়গার সামনে কার্পেট স্থাপন করা যেতে পারে। ডাইনিং রুমে কার্পেট বসাতে লক্ষ্য রাখতে হবে ডাইনিং টেবিলের সবকটি চেয়ার যেন কার্পেটের ওপর হয়। শোবার ঘর বা অন্যান্য জায়গায় সাজসজ্জার চাহিদার ওপর ভিত্তি করে ছোট ছোট কার্পেট ব্যবহার করতে পারেন। বড় কক্ষের ক্ষেত্রে দুটি ছোট বা মাঝারি আকারের কার্পেট ব্যবহার করতে পারেন।
-একাধিক কার্পেট ব্যবহারের প্রয়োজন হলে একটির সঙ্গে অন্যটির মিল আছে এমন কার্পেট কেনা উচিত। তা না হলে সৌন্দর্যের পরিবর্তে বেখাপ্পা দেখাবে বেশি।
-আপনার মেজাজ এবং সজ্জার সঙ্গে মিল রেখে কার্পেটের রঙ পছন্দ করুন। রুমের শৌখিনতার জন্য হলে গাঢ় রঙের কার্পেট ব্যবহার করতে পারেন। আর চারপাশের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে চাইলে হালকা রঙের কার্পেট ব্যবহার করতে পারেন।
-কালো বা উজ্জ্বল রঙের কার্পেট বড় কক্ষে ভালো মানায়। আর হালকা পেন্সিল রঙের কার্পেট ছোট কক্ষের জন্য উপযুক্ত। এতে কক্ষের আকার অনেক বড় দেখায়।
-নিরেট গৃহসজ্জার জন্য নকশাযুক্ত কার্পেট ভালো। আর আসবাবপত্র যদি ভারী সাজসজ্জার হয় তাহলে হালকা রঙের কার্পেটই সবচেয়ে ভালো।
-আপনার স্টাইল এবং অন্যান্য আসবাবপত্রের সঙ্গে মিলিয়ে ঐতিহ্যবাহী, ট্রানজিশনাল, ফুল এবং আধুনিক নকশার গালিচা কিনতে পারেন।
-কার্পেট বোদ্ধা বা বিশেষজ্ঞদের পছন্দের কার্পেট হচ্ছে উল বা পশমের। উলের কার্পেট শীতে গরম এবং গ্রীষ্মে ঠাণ্ডা ছড়ায়।
-কার্পেট পরিষ্কার এবং রক্ষণাবেক্ষণও অনেক সহজ। তাছাড়া, এটি পায়ের নিচে খুব নরম এবং আরামদায়ক অনুভূতি তৈরি করে। অন্যান্য আঁশের চেয়ে উল শব্দনিরোধক বেশি। এছাড়াও দীর্ঘদিন উলের কার্পেটের রঙ এবং উজ্জলতা অপরিবর্তিত থাকে।
-কিছু স্বনামধন্য ব্যবসায়ী ক্রেতাদের চূড়ান্তভাবে কার্পেট কেনার আগে বাড়িতে নিয়ে মানানসই হয় কিনা তা দেখার সুযোগ দেয়। এই সেবা গ্রহণ করার মানে হচ্ছে, আপনি সঠিক কার্পেটটিই ঘরের জন্য কিনছেন।
-গালিচা আপনার ঘরের সৌন্দর্যের প্রতিনিধিত্ব করে। তাই খুব ভেবেচিন্তে সঠিক আকার, রঙ, নকশা দেখে গালিচা কেনা উচিত। আসবাবপত্র এবং পর্দার রঙের সঙ্গে মিলিয়ে গালিচা কেনা উচিত। উদাহরণস্বরূপ, ঘরের আসবাবপত্র এবং সাজসজ্জা যদি ঐতিহ্যবাহী হয়, আর আপনি যদি খুব সুন্দর এবং আধুনিক মানের কার্পেট ব্যবহার করেন তাহলে খুবই বেখাপ্পা লাগবে।
কার্পেট রক্ষণাবেক্ষণ
-কার্পেট বা গালিচা যদি সঠিক উপায়ে রক্ষণাবেক্ষণ না করা হয় তাহলে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি বয়ে আনতে পারে। কার্পেট পরিষ্কার এবং দীর্ঘস্থায়ী রাখার কিছু উপায় বর্ণনা করা হলো:
-কার্পেট নিয়মিত পরিষ্কার রাখা ভালো।
-কার্পেটে কোনো তরল পদার্থ বা দাগ পড়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলে উচিত।
-কার্পেট রক্ষণাবেক্ষণের সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে, ময়েশ্চার বা আদ্রতা থেকে দূরে রাখা। কার্পেট পরিষ্কার করতে বাজারে আধুনিক সরঞ্জামাদি পাওয়া যায়। এতে কার্পেট পরিষ্কার হবে ভালো এবং টেকসই হবে দীর্ঘদিন।
খবর বিভাগঃ
ফিচার
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়