আইটি ডেস্ক, কানাইঘাট নিউজ:
ঘাম থেকে উৎপন্ন হবে বিদ্যুৎ। সেই বিদ্যুতে চার্জ হবে আমার হাতের মুঠোর ফোন। এজন্য বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি বিশেষ ধরনের ট্যাটু স্টিক তৈরি করেছেন।
এই ট্যাটু স্টিক তৈরি করেছেন মার্কিন রসায়নবিদ ও গবেষকরা। এটি দিয়ে শারীরিক পরিশ্রম বা ট্রেনিংয়ের মাত্রা পরিমাপ করা যায়৷ শুধু তাই নয়, তার পাশাপাশি তৈরি করা যায় বিদ্যুৎও৷ এই বিদ্যুৎ দিয়ে চার্জ দেয়া যাবে ফোনে।
ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, সান ডিয়েগোর একদল গবেষক এই মজার আইডিয়াটা বাস্তবায়িত করেন৷ তাঁরা এর নাম দিয়েছেন ‘ট্যাটু বায়োব্যাটারি’৷ ঘামের মতো শরীর থেকে নির্গত তরল পদার্থ দ্বারা যে শক্তি উত্পাদন করা যায় তার একটা দৃষ্টান্ত এটা৷
এই ট্যাটু ‘এনজাইম’ বা এক ধরনের প্রোটিন, যা ল্যাকটেটকে পাইরুভিক বা পিরুভিক অ্যাসিড-এ রূপান্তর করে৷ এর ফলে দুটি ইলেকট্রন উন্মুক্ত হয়৷ ইলেকট্রন অর্থ চার্জ, যা থেকে বৈদ্যুতিক শক্তি উৎপন্ন হয়৷
ঘামে যত বেশি ল্যাকটেট থাকে, তত বেশি বৈদ্যুতিক শক্তি উৎপন্ন হয়৷ একটি যন্ত্রের সাহায্যে এই বিদ্যুৎ মাপা যায়৷ তা থেকে ঘামে ল্যাকটেট-এর ঘনত্বও বোঝা যায়৷ পাতলা সেন্সরটি স্টিকারে ঢুকিয়ে ত্বকের ওপরে লাগিয়ে দেওয়া যায়৷ ল্যাকটেট থেকে পাওয়া বিদ্যুৎ দিয়ে ছোট ছোট ইলেকট্রনিক যন্ত্রও চালানো যায়৷ যেমন হার্টরেট মনিটর, স্মার্ট ফোন ইত্যাদি৷
তবে সেন্সরটি খুব ছোট বলে চার মাইক্রোওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না৷ একটি ঘড়ি চালাতে কমপক্ষে ১০ মাইক্রোওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন৷
খবর বিভাগঃ
তথ্য প্রযুক্তি
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়