ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকরে কারাগারে প্রবেশ করেছেন ১২ সদস্যের একটি দল। এর মধ্যে জেলা প্রশাসক সালাহউদ্দিন, সিভিল সার্জন আবদুল মালেক মৃধা, লালবাগ জোনের ডিসি মফিজ উদ্দিন আহমেদ, কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির রয়েছেন। ইতোমধ্যেই একজন ঈমাম তাকে তওবা পড়িয়েছেন এবং ফাঁসির আগে গোসলের কাজও সম্পন্ন করা হয়েছে।নিজামীর স্বজনরা কারাগার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরই ফাঁসি কার্যকরে একে একে জেলা প্রশাসক থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কারাগারে প্রবেশ করতে থাকেন। রাত ১১ টার আগেই ফাঁসি কার্যকর করা হবে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন, রাতেই ফাঁসি কার্যকর হচ্ছে।
মঙ্গলবার বিকালের মধ্যেই জল্লাদরা কারাগারে পৌঁছেন। ফাঁসি কার্যকরের আদেশও কারাগারে পৌঁছে।
নিজামীর সঙ্গে দেখা করতে আসা স্বজনরা রাত সাড়ে নয়টার দিকে কারাগার থেকে বেরিয়ে গেছেন। রাত ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে তারা কারাগারে প্রবেশ করে প্রায় এক ঘণ্টা ৪০ অবস্থান করেন। স্বজনদের বেরিয়ে যাওয়ার পর ফাঁসি কার্যকরের অপেক্ষা শুধু।
সোমবার একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর রিভিউ খারিজের রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রারের দপ্তর থেকে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। রায় প্রকাশের পর সেটি পাঠানো হয় ট্রাইব্যুনালে। সেখান থেকে রায়ের কপি যায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। রাতেই নিজামীকে রায় পড়ে শোনানো হয়। এরপর চিকিৎসকেরা তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন।
এর আগে গত রবিবার রাতে নিজামীকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়। সেখানে তাকে কনডেম সেলে রাখা হয়।
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়