Monday, April 18

কানাইঘাটে জেলা প্রশাসক: নির্বাচনে অনিয়ম করলে গুলি


নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটের জেলা প্রশাসক ও জেলা নির্বাচন রিটার্নিং অফিসার মোঃ জয়নাল আবেদীন বলেছেন, আসন্ন ইউয়িন পরিষদের নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎসব মুখর শান্তিপূর্ণ পরিবেশে aসম্পন্ন করার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সিলেটের ৩টি উপজেলার ইউপি নির্বাচনে ভোটারদের রায়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। শান্তিপূর্ণ ভোট আমরা উপহার দিয়েছি। কানাইঘাট উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ২৩ এপ্রিলের নির্বাচন আরো সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ উৎসব মুখর পরিবেশে সম্পন্ন করতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের নির্ভয় দিয়ে বলেন, যদিও দলীয় ভাবে প্রথম বারের মতো ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, কিন্তু কে কোন দলের প্রার্থী আমাদের কাছে সেটা বড় নয়। সুষ্ঠু ভোট উপহার ও ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে পারেন সেজন্য উপজেলার ৮৫টি ভোট কেন্দ্র ও আশপাশ এলাকায় মাকড়শার জালের মতো শতশত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, স্টাইকিং ফোর্স, বিভিন্ন গোয়েন্দা বাহিনীর কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমান ম্যাজিষ্ট্রেট, মোতায়েন করা হবে। নির্বাচনের দিন কোন প্রার্থী ও তাদের বহিরাগত মাস্তান বাহিনী কিংবা সন্ত্রাসীরা ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে কেন্দ্র দখল, ঝাল ভোট প্রদান, ভ্যালট পেপার ছিনতাইয়ের চেষ্টা করলে তাদের পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ হবে। ভ্যালট পেপারে কেউ হাত দিলে গুলিতে তার বুক ঝাঁঝরা করে দেওয়া হবে, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। কানাইঘাট পৌরসভার নির্বাচন ও উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের উদাহরণ দিয়ে জেলা প্রশাসক আরো বলেন, সেখানে ভোটারদের রায়ের প্রতিফলন ঘটেছে, আমরা নিরপেক্ষ সেটা উপজেলার ৯টি ইউয়িনের আসন্ন নির্বাচনে প্রতিফলন ঘটবে। জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীন গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় কানাইঘাট উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের নির্বাচনকে সামনে রেখে চেয়ারম্যান, সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের সদস্য পদ প্রার্থীদের সাথে আচরণিিধ ও আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়ার সভাপতিত্বে ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার অতিঃ সৈয়দ কামাল হোসেনে পরিচালনায় উক্ত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা বলেন, ইউপি নির্বাচন নিয়ে অপপ্রচারের কেউ চেষ্টা করবেন না। কানাইঘাট উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের নির্বাচন প্রভাবমুক্ত ও নিরপেক্ষ ভাবে সম্পন্ন করা হবে, এর ব্যাপ্তয় ঘটবে না। নির্বাচনে মাস্তান সন্ত্রাসী চক্র কোন ধরনের অপকর্মের চেষ্টা করলে তাদের অত্যন্ত খারাপ পরিণতি ভোগ করতে হবে। নির্বাচনের দিন গোটা কানাইঘাট উপজেলা নিরাপত্তার চাদরে ডাকা হবে। পুলিশের ১ হাজার সদস্য ভোট কেন্দ্রের পাহারায় নিয়োজিত থাকবে। প্রতিটি ইউনিয়নে একাধিক পুলিশের মোবাইল কোর্ট থাকবে। অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহীনির ব্যাপক সদস্য ভোটের দিন, আগে-পরে নির্বাচনী মাঠে দায়িত্ব পালন করবে। কোন প্রার্থী অন্যভাবে জয়লাভের চেষ্টায় লিপ্তের ষড়যন্ত্র থাকলে সে পথ পরিহার করার জন্য হুশিয়ার উচ্চারন করেন। উক্ত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, জেলা আনসার বিডিবি এক্সিকিউটিভ অফিসার কর্ণেল আশীষ, জেলা নির্বাচন অফিসার আজিজুল হক, র‌্যাব-৯ এর এএসপি মোঃ আজিজুল হক সরকার, সিলেট উত্তর সার্কেলের এসএসপি ধীরেন্দ্র মহাপাত্র। বক্তব্য রাখেন, কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হুমায়ুন কবির, বিজিবির কানাইঘাট সুরইঘাট ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মামুন, কানাইঘাট প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক নিজাম উদ্দিন। প্রার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সদর ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম, মামুন রশিদ, বড়চতুল ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী হামিদুল হক, মাও. আবুল হোসেন চতুলী, লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী এড. আব্দুর রহিম, আব্দুস সামাদ উজ্জ্বল, সাতবাঁক ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী আলী আহমদ সহ কয়েকজন ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের প্রার্থী। এর আগে জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীন ও পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা কানাইঘাট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে নির্বাচনে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের এক প্রশিক্ষণ সভায় দিকনির্দেশনা বক্তব্য রাখেন।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়