কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
বিএনপির এক সময়ের নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বলেছেন শেখ হাসিনার
নেতৃত্বেই আগামীতে ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ নির্বাচনে হবে। শেখ হাসিনা তার পিতা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ‘বাস্তবায়িত করে চলেছেন’ মন্তব্য
করে তার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন হুদা।
‘তৃনমূল বিএনপি’ নামে নতুন রাজনৈতিক দলের কমিটি ঘোষণা উপলক্ষে শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে দলটির চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা বলেন, “বাংলাদেশের বর্তমান সরকার, বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, যিনি গণতন্ত্রের মানসকন্যা হিসেবে পরিচিত এবং যিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যাও বটে, তিনি দেশে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন নিশ্চই করবেন, এটা আমরা মনে প্রাণে-বিশ্বাস করি।”
তিনি বলেন, “সমস্ত উন্নয়ন দৃশ্যমান। আমরা বেরুলেই দেখছি, ফ্লাইওভার হচ্ছে, মেগা প্রকল্প পদ্মাসেতু হচ্ছে। বিভিন্নভাবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।”
১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমানের হাত ধরে বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর গঠিত প্রথম স্থায়ী কমিটির সর্বকনিষ্ঠ সদস্য ছিলেন নাজমুল হুদা। খালেদা জিয়ার দুই সরকারের আমলে তিনি মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন।
নানা ঘটনায় আলোচিত নাজমুল হুদা ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা দেওয়ার কারণে মন্ত্রিত্ব থেকে সরে যেতে বাধ্য হন। দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ২০১০ সালের ২৩ জুন তাকে ফের বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। তিনি তখন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।
ভুল স্বীকার করে খালেদা জিয়ার কাছে আবেদন করার পর ২০১১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর আবার বিএনপির সদস্যপদ ফিরে পান নাজমুল হুদা। কিন্তু ২০১৪ সালের ৬ জুন সংবাদ সম্মেলন করে নিজের অভিমানের কথা তুলে ধরে বিএনপি ত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।
৩১টি দল নিয়ে গঠিত নতুন মোর্চা বাংলাদেশ জাতীয় জোটের নেতা নাজমুল হুদা জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে শুক্রবারের অনুষ্ঠানে বলেন, “এই রাষ্ট্রের মালিক জনগণ একদিন তাদের ক্ষমতা ফিরে পাবে-এটা আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। শুধু গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনার পক্ষেই এটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব। আমরা সেই লক্ষ্যে সুশাসনের স্বপ্ন দেখছি।”
‘সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে’ ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে সংলাপে বসার আগ্রহের কথাও অনুষ্ঠানে বলেন তিনি।
“আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এসে মাননীয় মন্ত্রী জনাব মোহাম্মদ নাসিম ইংগিত দিয়েছিলেন, জাতীয় জোটের সাথে ১৪ দলীয় জোট একযোগে কাজ করবে।
“আমি সেই ইংগিতের ওপর ভরসা করে তাকে আহ্বান জানাতে চাই- আসুন, দেশে যেসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো রয়েছে, সমস্ত বিষয় নিয়ে বর্তমান সরকারকে বিভিন্নভাবে বিতর্কিত করার প্রচেষ্টা চলছে। সেসব বিষয় নিয়ে আমরা সংলাপে বসি এবং কি করে সমাধান করা যায়, আপনাদের সেই পরামর্শ আমরা দিতে আগ্রহী।”
বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের ‘অনেকে উপরে’ চলে যাওয়ার কথা থাকলেও অতীতের রাষ্ট্রনেতারা ‘আশার আলো দেখাতে না পারায়’ তা সম্ভব হয়নি বলে মন্তব্য করেন হুদা।
‘তৃণমূল বিএনপি’র নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন এবং তাতে সোশাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসডিপি) নেতাকর্মীদের ‘যোগদান’ উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর তিনি বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) নামে নতুন দল খোলেন। অবশ্য ওই দল থেকেও তিনি বহিষ্কৃত হন।
দ্বিতীয় দফা বিএনপি ছড়ার পর ২০১৪ সালের মে মাসে হুদা গঠন করেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স- বিএনএ। কিন্তু ওই দলের তেমন কোনো কার্যক্রম না থাকায় এক পর্যায়ে তার বিএনপিতে ফেরার গুঞ্জন ওঠে।
ওই বছর ২৯ নভেম্বর নাজমুল হুদা ‘বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি’ গঠনের ঘোষণা দেন। গতবছর জানুয়ারিতে আসে তার নতুন জোটের ঘোষণা। সবশেষ গত মাসে ‘তৃণমূল বিএনপি’ নামে নতুন দল আনেন আলোচিত এই রাজনীতিবিদ।
‘তৃনমূল বিএনপি’ নামে নতুন রাজনৈতিক দলের কমিটি ঘোষণা উপলক্ষে শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে দলটির চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা বলেন, “বাংলাদেশের বর্তমান সরকার, বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, যিনি গণতন্ত্রের মানসকন্যা হিসেবে পরিচিত এবং যিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যাও বটে, তিনি দেশে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন নিশ্চই করবেন, এটা আমরা মনে প্রাণে-বিশ্বাস করি।”
তিনি বলেন, “সমস্ত উন্নয়ন দৃশ্যমান। আমরা বেরুলেই দেখছি, ফ্লাইওভার হচ্ছে, মেগা প্রকল্প পদ্মাসেতু হচ্ছে। বিভিন্নভাবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।”
১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমানের হাত ধরে বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর গঠিত প্রথম স্থায়ী কমিটির সর্বকনিষ্ঠ সদস্য ছিলেন নাজমুল হুদা। খালেদা জিয়ার দুই সরকারের আমলে তিনি মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন।
নানা ঘটনায় আলোচিত নাজমুল হুদা ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা দেওয়ার কারণে মন্ত্রিত্ব থেকে সরে যেতে বাধ্য হন। দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ২০১০ সালের ২৩ জুন তাকে ফের বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। তিনি তখন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।
ভুল স্বীকার করে খালেদা জিয়ার কাছে আবেদন করার পর ২০১১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর আবার বিএনপির সদস্যপদ ফিরে পান নাজমুল হুদা। কিন্তু ২০১৪ সালের ৬ জুন সংবাদ সম্মেলন করে নিজের অভিমানের কথা তুলে ধরে বিএনপি ত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।
৩১টি দল নিয়ে গঠিত নতুন মোর্চা বাংলাদেশ জাতীয় জোটের নেতা নাজমুল হুদা জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে শুক্রবারের অনুষ্ঠানে বলেন, “এই রাষ্ট্রের মালিক জনগণ একদিন তাদের ক্ষমতা ফিরে পাবে-এটা আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। শুধু গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনার পক্ষেই এটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব। আমরা সেই লক্ষ্যে সুশাসনের স্বপ্ন দেখছি।”
‘সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে’ ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে সংলাপে বসার আগ্রহের কথাও অনুষ্ঠানে বলেন তিনি।
“আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এসে মাননীয় মন্ত্রী জনাব মোহাম্মদ নাসিম ইংগিত দিয়েছিলেন, জাতীয় জোটের সাথে ১৪ দলীয় জোট একযোগে কাজ করবে।
“আমি সেই ইংগিতের ওপর ভরসা করে তাকে আহ্বান জানাতে চাই- আসুন, দেশে যেসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো রয়েছে, সমস্ত বিষয় নিয়ে বর্তমান সরকারকে বিভিন্নভাবে বিতর্কিত করার প্রচেষ্টা চলছে। সেসব বিষয় নিয়ে আমরা সংলাপে বসি এবং কি করে সমাধান করা যায়, আপনাদের সেই পরামর্শ আমরা দিতে আগ্রহী।”
বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের ‘অনেকে উপরে’ চলে যাওয়ার কথা থাকলেও অতীতের রাষ্ট্রনেতারা ‘আশার আলো দেখাতে না পারায়’ তা সম্ভব হয়নি বলে মন্তব্য করেন হুদা।
‘তৃণমূল বিএনপি’র নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন এবং তাতে সোশাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসডিপি) নেতাকর্মীদের ‘যোগদান’ উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর তিনি বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) নামে নতুন দল খোলেন। অবশ্য ওই দল থেকেও তিনি বহিষ্কৃত হন।
দ্বিতীয় দফা বিএনপি ছড়ার পর ২০১৪ সালের মে মাসে হুদা গঠন করেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স- বিএনএ। কিন্তু ওই দলের তেমন কোনো কার্যক্রম না থাকায় এক পর্যায়ে তার বিএনপিতে ফেরার গুঞ্জন ওঠে।
ওই বছর ২৯ নভেম্বর নাজমুল হুদা ‘বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি’ গঠনের ঘোষণা দেন। গতবছর জানুয়ারিতে আসে তার নতুন জোটের ঘোষণা। সবশেষ গত মাসে ‘তৃণমূল বিএনপি’ নামে নতুন দল আনেন আলোচিত এই রাজনীতিবিদ।
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়