Thursday, March 3

স্রষ্টার তুলনাহীন কিছু দান


ইসলাম ডেস্ক: আল্লাহর অগণিত নেয়ামতের মধ্যে আমরা ডুবে আছি। তার নেয়ামতগুলো গুনে কখনো শেষ করার মতো নয়। তবে এমন কিছু নেয়ামত আছে যার সঙ্গে আর কোনো নেয়ামতের তুলনাই চলে না। এর একটি হলো বাতাস। বাতাস ছাড়া কোনো প্রাণী এক মুহূর্তও বেঁচে থাকতে পারে না। আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে বাতাসের সম্পর্ক প্রগাঢ়। মানুষ নিঃশ্বাস গ্রহণ করায় অক্সিজেন নেয় আর নিঃশ্বাস ত্যাগের মাধ্যমে বিষাক্ত কার্বন-ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করে। তাদের ত্যাগ করা বিষাক্ত কার্বন-ডাই-অক্সাইড আবার বৃক্ষরাজি গ্রহণ করে প্রকৃতি ও পরিবেশকে সুন্দর এবং নির্মল রাখে। পৃথিবীর মৌলিক ও শক্তিশালী পদার্থের মধ্যে বাতাস অন্যতম। আগুন নেভাতে পারে পানি। আর সেই পানি উড়িয়ে নিয়ে চলে বাতাস। বৃষ্টি বর্ষণের প্রাক্কালে পানিভর্তি মেঘমালাকে তাড়িয়ে নিয়ে যায় বাতাস। আল্লাহ বলেন, ‘তিনিই বৃষ্টির আগে সুসংবাদবাহী বায়ু পাঠিয়ে দেন। এমনকি যখন বায়ুরাশি পানিপূর্ণ মেঘমালা বয়ে আনে, তখন আমি এ মেঘমালাকে একটি মৃত শহরের দিকে হাঁকিয়ে দিই। অতঃপর এ মেঘ থেকে বৃষ্টিধারা বর্ষণ করি। অতঃপর পানি দ্বারা সব রকমের ফল উৎপন্ন করি। এমনিভাবে মৃতদের বের করব, যাতে তোমরা চিন্তা কর।’ পৃথিবীকে বসবাসের উপযোগী ও পরিবেশবান্ধব করতে নিরাপদ এবং নির্মল বাতাসের কোনো বিকল্প নেই। সময়ের ব্যবধানে বর্তমানে গ্রিন হাউস প্রভাবের ফলে বাতাসের নির্মলতা এমনভাবে হ্রাস পেয়েছে যে, পৃথিবী অনেকটাই বসবাসের অনুপযোগী হতে চলেছে। শুধু পরিবেশ নয়, জলবায়ুতেও এর কুপ্রভাব পড়ছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, যখন তেমাদের কারো হাই আসে, সে যেন নিজের হাত মুখের ওপর রাখে। কেননা, শয়তান মুখে প্রবেশ করে। এই হাদিস দ্বারা বোঝা যায়, হাঁচি, কাশি বা হাই তোলার সময় মুখনিঃসৃত জীবাণুযুক্ত বাতাস বা পানি বের হতে পারে, যা আশপাশের লোকজন ও বাইরের বাতাসকে দূষিত করতে পারে। কাজেই হাত দিয়ে নিচু করে এসব করতে বলা হয়েছে। পরিবেশের দূষণ হয় এমন কোনো কাজ ইসলাম সমর্থন করে না। নির্মল বাতাস আর পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় রাসুল (সা.) গাছ লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন। রাসুলের নির্দেশ অনুযায়ী গাছ লাগালে এ থেকে নির্মল ও স্বচ্ছ বাতাস লাভ করা যাবে। আর এটা এত বড় নেয়ামত যার সঙ্গে আরা কোনো নেয়ামতের তুলনা চলে না।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়