Friday, February 12

দেশে প্রথমবারের মতো রোহিঙ্গা শুমারি শুরু


ঢাকা: দেশের প্রথম বারের মতো শুরু হয়েছে রোহিঙ্গা শুমারি। এই শুমারির মাধ্যমে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে অবস্থানরত মিয়ানমারের অনিবন্ধিত নাগরিক বা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংখ্যা নির্দিষ্ট করা যাবে। শুক্রবার সকালে এই শুমারি শুরু হয়। কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও পটুয়াখালী- এই ছয় জেলায় থাকা রোহিঙ্গাদের গণনা করা হবে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গণনার কাজ শেষ হলে রোহিঙ্গাদের পরিচয়পত্র দেয়া হবে। সরকারের পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এই শুমারি তত্ত্বাবধান করছে। আর সার্বিক সহযোগিতা দিচ্ছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম। শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে খানা জরিপ বা পরিবারভিত্তিক তালিকা তৈরির কাজ। এটি চলবে ৫ দিন। আর ব্যক্তি গণনা চলবে মার্চের মাঝামাঝি থেকে এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি তথ্যগত বিভ্রান্তি আছে। কক্সবাজারের দুটি শিবিরে বর্তমানে তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় ৩৩ হাজার। এর বাইরে অনিবন্ধিত বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। জানা গেছে, এ শুমারিতে শুধু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী গণনা করা হবে না, তাদের ছবিও তুলে রাখা হবে, যার ভিত্তিতে পরে তাদের পরিচয়পত্র দেয়া হবে। এছাড়া রোহিঙ্গাদের জীবনযাপনের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করা হবে। তারা মিয়ানমারের কোন অঞ্চল থেকে এদেশে এসেছে; কেন এসেছে; বাংলাদেশে তাদের জীবিকা নির্বাহ হয় কীভাবে; পরিবারের সদস্য কত- এসব তথ্যও সংগ্রহ করা হবে। আইওএমের মুখপাত্র আসিফ মুনীর বলেছেন, রোহিঙ্গা শুমারি হলে তাদের সম্পর্কে একটি সঠিক চিত্র পাওয়া যাবে। এর আগে গতবছরের মে মাসে ২১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ের ‘বাংলাদেশে অবস্থানরত অনিবন্ধিত মিয়ানমার নাগরিক শুমারি, ২০১৫’ নামে একটি প্রকল্প পাস করে পরিকল্পনা কমিশন।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়