চাকরি জাতীয়করণ করা না হলে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা (সিএইচসিপি)। যারা তৃণমূলে ‘আমাগো ডাক্তার’ নামে খ্যাত। দাবি আদায়ে পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশের সকল কমিউনিটি ক্লিনিকে অনলাইন রিপোর্ট দেয়া বন্ধ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাসিক সমন্বয় সভা বয়কট করছেন তারা।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, মা ও শিশু মৃত্যুহার কমিয়ে আনার কারিগর হিসাবে আমরা ‘আমাগো ডাক্তার’ নামে পরিচিত। বেশিরভাগ ‘আমাগো ডাক্তারের’ সরকারি চাকরির বয়স শেষ হয়ে গেছে। যদিও নিয়োগের পর ২০১৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর প্রকল্প কার্যালয় থেকে চিঠি দিয়ে চাকরি জাতীয়করণের নিশ্চয়তা দিয়েছেন। এরপর প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য অধিদফতর, সকল জেলার নিজ নিজ সংসদ সদস্যকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা ও ১৪ হাজার পরিবারের কথা চিন্তা করে চাকরি জাতীয়করণ ও ৪ বছরের বকেয়া ইনক্রিমেন্ট প্রদানের দাবি জানানো হয়।
দাবি আদায়ে আগামী ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিকে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। ১৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সরকার দাবি মেনে না নিলে ১৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার কমিউনিটি ক্লিনিকে বসে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। এর মধ্যে দাবি আদায় না হলে ২৩ ফেব্রুয়ারি মহাখালী প্রকল্প কার্যালয়ে সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত প্রতীকী অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা মো. কামাল হোসাইন সরকার, সংগঠনের আহ্বায়ক মো. শহিদুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল শরীফ, যুগ্ম আহ্বায়ক তারিকুজ্জামান, ইউনুচ আলী, সদস্য কামরুন্নাহার, রায়হান আলী, মল্লিকা আখতার, শামীমা নাসরিন, শাহীনুর রহমান সহ সিএইচসিপির দেশের বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধিরা।
সূত্র:-ইত্তেফাক
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়