Friday, February 26

এম.তৈয়বুর রহমান:এখনো খুঁজে ফিরি


জিবলু রহমান: 
                           মমতাহীন কালস্রোতে 
                         বাংলার রাষ্ট্রসীমা হতে 
                           নির্বাসিতা তুমি 
                            সুন্দরী শ্রীভূমি 
                       ভারতী আপন পূণ্য হাতে 
                       বাঙালীর হৃদয়ের সাথে 
                        বাণীমালা দিয়া 
                        বাঁধে তব হিয়া 
                সে বাঁধনে চিরদিন তরে তব কাছে 
              বাংলার আশীর্বাদ গাঁথা হয়ে আছে।-রবীন্দ্রনাথ
 বছরের শুরুতেই প্রিয়জন হারানোর বেদনা আর প্রিয় ঋতুর আগমনী আনন্দ-ভালোবাসার বিপরীত অনুভূতি নিয়ে ভীষণ কষ্টে কাটে আমার সারা বেলা। দেয়ালে টাঙ্গানে ছবিটার সামনে দাঁড়াতেই কণ্ঠে এসে ভারিত হয়ে যায় নজরুলের সেই গাণের বাণী-
            আমার কথার লঘু মেঘগুলি 
    জমে হিম হয়ে যায় তোমার নীরবতায়। 
 মহান স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে অতি আপন মানুষটির সান্নিধ্য-ভালবাসা থেকে বঞ্চিত হয়েছি। ১০ মার্চ ২০১৩ মৃত্যুর মতো হিমশীতল কঠিন সত্যটি এসে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে আমার চাচার শেষ দীর্ঘশ্বাস। হ্যাঁ আমার-আমাদের চাচা এম.তৈয়বুর রহমান। আমি হারিয়েছি আমার স্নেহময় নিরাপদ আশ্রয়স্থল। আমার কান্না কাউকে দেখাতে পারছি না। কিন্তু বৃহত্তর জৈন্তার সাথে আমিও আজ ক্রন্দররত। চাচা নেই। এটাই সত্য। কিন্তু কিভাবে মেনে নেব বাস্তবতা। এম.তৈয়বুর রহমান বৃহত্তর জৈন্তার প্রাণমানুষ। রাজনৈতিক মহলে প্রিয় ‘তৈয়ব ভাই’। ১০ মার্চের পত্রিকাটি হাতে নিতেই চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। আবেগ সামলাতে কষ্ট হয়। চোখের সামনে ভেসে ওঠে আমার বসার করে কটি। আজ এখানে আর আমার চাচা এম.তৈয়বুর রহমান বসবেন না। বলবেন না এটা কর, ওটা কর। সৎ ও সৃষ্টিশীল সাংবাদিকতা ও লেখালেখির মাধ্যমে দেশ, জাতি ও বিশ্বকে পথ নির্দেশনা দিতে যারা সদা তৎপর তাদের মধ্যে প্রথিতযশা এম.তৈয়বুর রহমান ছিলেন অন্যতম। স্থানীয়, জাতীয় অঙ্গনে একজন নির্ভীক, স্পষ্টবাদী ও কলামিস্ট হিসেবে অর্জন করেছেন খ্যাতি ও পরিচিতি। ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত সহজ, সরল, অমায়িক এক বিবেকবান বুদ্ধিজীবী ছিলেন তিনি। বিশেষতঃ সিলেট অঞ্চলে সাংবাদিকতার লালন ও বিকাশে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাঁর সঙ্গে প্রায়শঃ দেখা সাক্ষাৎ হতো। সব সময় তিনি হাসি মুখে কৌতুক পরিবেশন করে বসতে বলতেন। তাঁর বাচনিকতায় একদিকে যেভাবে ছিল রস তেমনি ব্যাঙ্গোক্তি। একজন লেখক হিসেবে তিনি আমার কাছে সব সময় প্রতিভাত হতেন। লেখার ভেতর দিয়ে তিনি যেভাবে সমাজ-দেশ-আন্তর্জাতিক নানা বিষয়ের উপর ভাষায় অসংগতি, অমানবিকতা, ষড়যন্ত্র, চক্রান্তকে অঙ্গুলি নির্দেশ করতেন, তেমনি একজন সত্যনিষ্ঠ মানুষ হিসেবে তিনি নিজেকে চাইতেন সব সময় মেলে ধরতে। নিজের মতো করে বলতেন। শুনতে একটু কটু শোনালেও সত্যিকার অর্থে তাঁর কথায় অন্তর্নিহিত সত্যতা থাকতো। এম.তৈয়বুর রহমানের বাসায় গেলে দেখতে পেতাম দু’টি মোবাইল ফোনে কথাবার্তা চালাচ্ছেন, মোবাইল শেষেই বলছেন বিভিন্ন কথাবার্তা অথবা কিছু লিখছেন; আবার খোঁজ করছেন রাজনৈতিক সহকর্মী কে কি কাজ করছেন। হাসি মুখেই জবাব দিতেন সহকর্মীরা। এরই ফাঁকে আবার সাহায্য-সহযোগিতার জন্য আসা লোকজনের কথাও শুনছেন; সমাধানের চেষ্টা করছেন। এম. তৈয়বুর রহমানের সঙ্গে আমার বয়সের ব্যবধানটা নেহায়েত কম না। অন্ততঃ ঊনশ/বিশ বছরের। তার মানে প্রায় পিতা-পুত্রের ব্যবধান। কিন্তু তাঁর উদারতা এবং আপন করে নেবার অদ্ভুত চৌম্বক চারিত্রিক গুণ কখনো বুঝতে দেননি আমাদের মাঝে বয়সের এতো বড় দুরত্ব আছে। যখনি তাঁর বাসায় গিয়েছি হয়তো তিনি কোন জরুরী কাজে বাইরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, বিষয় নিয়ে ভাবছেন, পত্রিকার ফাইল ঘেঁটে কিছু উদ্ধারে সচেষ্ট রয়েছেন। মুখোমুখি হওয়া মাত্রই সেই কাজ থামিয়ে একগাল হাসি ছড়িয়ে আমন্ত্রণ জানাতেন-বস। যদি বলতাম আপনি এখন ব্যস্ত, যাই। তিনি প্রবলভাবে আপত্তি তুলে বলতেন-না, না তেমন কোন ব্যস্ততা নেই, গণ-প্রতিনিধিদের আড্ডা মারা, গল্প করা এটাও কাজ-এটাও মনের জন্যও জরুরী। বস আমার কোন সমস্যা হয় না। এম.তৈয়বুর রহমান আর আমাদের মধ্যে নেই। ৫৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি রাজনৈতিক, কলাম লেখক ও সমাজকর্মী হিসেবে দেশ ও জাতির খেদমত করেছেন, ইতিহাস সম্পর্কিত সাংবাদিকতার অন্যতম পথিকৃত হিসেবে আমাদের দিক নির্দেশনা দিয়েছেন, সাহস যুগিয়েছেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর এই খেদমত কবুল করে তাঁকে জান্নাতবাসী করুন আমরা এই দোয়া করছি। তাঁর অসংখ্য লেখা শুধু এ প্রজন্ম নয় ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও দিক-দর্শন দিতে পারে। এ লেখাগুলো সংকলন করে পুস্তকাকারে প্রকাশ করতে পারলে সারা জাতি উপকৃত হতে পারে বলে আমার বিশ্বাস। সিলেটের মুসলিম সাহিত্য সংসদ অথবা অন্য কোনো এজেন্সি কিংবা ব্যক্তি এই মহৎ কাজে এগিয়ে আসতে পারেন। শিক্ষার উন্নতিকল্পে তিনি বৃহত্তর জৈন্তার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সদস্য ছিলেন। তাঁর কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংস্থার উদ্যোগে অনেক সম্মাননা ও পদকে ভূষিত হয়েছেন। তিনি কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদসহ বহু সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থার সাথে জড়িত ছিলেন। আফজাল চৌধুরী তাঁর কবিতায় উচ্চারণ করে গেছেন- .......
প্রচার কৃপণ বলে, কোন দাগ নেই কোন খাতে
 কারো কারো ভ্রুভঙ্গিতে আমার কিছুই নেই দামি 
কেননা গরহাজির হয়ে তো শুরু ও শেষেতে 
পরন্তু আমার কাছে যাবতীয় ইতর ভন্ডামি
 উন্মোচিত, তুষ্ট তাই মৃত্যুবৎ নিজেরই পেশাকে 
বলা যায় অতএব-মরহুম কবি এক আমি 
মিশে আছি দেহহীন, ছায়া পথে, নত্র সভাতে
 স্তব্ধ বিশ্ব, মহাকাল, পবিত্র আত্মার শ্বাসাঘাতে। [উত্তম পুরুষ, শ্বেতপত্র, পৃঃ ২২] মরহুম কবি আফজাল চৌধুরীর এই কবিতাটি উল্লেখ করলাম এ কারণে এম. তৈয়বুর রহমানের যে ব্যক্তিত্ব ছিল তা কবিতার ভাষা মতোই প্রচার পায়নি। ১১ মার্চ ২০১৩ খাগাইল মাদ্রাসার পশ্চিমের খোলা মাঠে নামাজে জানাজা শেষে মাদ্রাসার পুকুরে কোনায় এম. তৈয়বুর রহমানকে দাফন করা হয়েছে। এ সময় সেখানে ছিল বিপুল সংখ্যক শোকার্ত মানুষের ভিড়। সকালেই সিলেট থেকে তাঁর লাশ গ্রামের বাড়ি উপজেলার পূর্নাছগামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আগের রাত থেকেই লোকজন অপেক্ষমান ছিলেন। সকালে লাশ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছলে লোকজন কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এ সময় সেখানে যে শোকাতুর পরিবেশের সৃষ্টি হয় তা বর্ণনা করা কঠিন। বাদ যোহর গ্রামের লাগোয়া খাগাইল মাদ্রাসার পশ্চিমের মাঠে এম. তৈয়বুর রহমানের লাশ আনা হয়। জানাজার আগে সমবেত লোকজনের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রেখেছেন সিলেট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ইমরান আহমদ, সাবেক এমপি দিলদার হোসেন সেলিম, সাবেক এমপি অধ্যক্ষ মাওলানা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর জহির চৌধুরী সুফিয়ান, সিলেট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আশফাক আহমদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শামসুদ্দোহা, ডেপুটি কমান্ডার লুৎফর রহমান লেবু, সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান, গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম চৌধুরী, জকিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাব্বির আহমদ, কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী, জৈন্তাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ আল হোসাইন, কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও সাইফুল ইসলাম, জৈন্তাপুর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল্লাহ, গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহীম, সেক্রেটারি গোলাম কিবরিয়া হেলাল, কোম্পানিগঞ্জ আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী আফতাব আলী কালা, শায়খুল হাদীস মাওলানা আব্দুল মান্নান, জেলা জমিয়তের সেক্রেটারী মাওলানা আতাউর রহমান, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী ও গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন, পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া, উত্তর রণিখাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ উদ্দিন ও দক্ষিণ রণিখাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান প্রমুখ। পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন এম. তৈয়বুর রহমানের ভাতিজা শামসুদ্দিন বাবুল ও আব্দুল আজিজ। এমপি ইমরান আহমদ তার বক্তব্যে বলেছেন, ১৯৮৬ সাল থেকে এম. তৈয়বুর রহমানের সাথে আমার পরিচয়। তখন থেকে দেখেছি তিনি সব সময় এলাকার উন্নয়ন নিয়ে চিন্তা করতেন। পিয়াইন-ধলাই খনন, সালুটিকর-গোয়াইন এবং সালুটিকর-কোম্পানীগঞ্জ রাস্তা নির্মাণের ব্যাপারে তিনি বিভিন্ন স্থানে জোরালো দাবি উত্থাপন করেছেন। তিনি বলেন, এম. তৈয়বুর রহমান সারাটি জীবন মানুষের কল্যাণে ব্যয় করেছেন। সাবেক এমপি দিলদার হোসেন সেলিম বলেছেন, তৈয়বুর রহমান চলে গেছেন ঠিকই, কিন্তু তিনি মানুষের হৃদয়ে থাকবেন আজীবন। নব্বইয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালে এম. তৈয়বুর রহমানের স্মৃতি চারণ করে তিনি বলেন, একজন সহকর্মী হিসেবে তাঁকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। সাধারণ মানুষকে নিয়েই ছিল তার কার্যক্রম বিস্তৃত। বিশিষ্টজনের বক্তব্যের পর শুরু হয় তার জানাজা। এতে ইমামতি করেন কোম্পানীগঞ্জের প্রখ্যাত শাইখুল হাদীস ও দলইরগাঁও মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুল মান্নান। জানাজায় কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলার বাসিন্দা ছাড়াও বৃহত্তর সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রায় ৭০ হাজারের মতো লোক উপস্থিত ছিলেন। এদিকে সিলেট জেলার সবকটি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানগণের পক্ষ থেকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম তৈয়বুর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়। সিলেট সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লোকমান আহমদ, গোলাপগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ চৌধুরী, বালাগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাকুর রহমান মফুর, বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান এম. মুহিবুর রহমান, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ আল হোসাইন, জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাব্বির আহমদ, কানাইঘাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশিক উদ্দিন চৌধুরী, গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম চৌধুরী, জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ জয়নাল আবেদীন ও বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রুমা চক্রবর্তী শোক বার্তায় বলেন, এম. তৈয়বুর রহমান ছিলেন একজন সত্যিকার দেশপ্রেমিক জনপ্রতিনিধি। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মাটি ও মানুষের উন্নয়নে কাজ করে গেছেন। তার স্বপ্ন ছিল একটি আলোকিত ও সমৃদ্ধশালী উপজেলা গঠন করা। তার আকস্মিক মৃত্যুতে বৃহত্তর জৈন্তাবাসী একজন জাগ্রত বিবেককে হারিয়েছে। সারা জীবন তিনি জৈন্তিয়ার মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আন্দোলন করে গেছেন। জীবনের বেশির ভাগ সময় অতিবাহিত করেছেন সমাজের অসহায় ও দরিদ্র মানুষের কল্যাণে। তার শূন্যতা সহজে পূরণ হবে না। তারা মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার বর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। (সূত্রঃ দৈনিক সিলেটের ডাক ১২ মার্চ ২০১৩) আত্মবীণ ও আত্মসমীণ যতই আন্তরিক হোক না কেন, এম. তৈয়বুর রহমানের আমাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে যে অবদান রেখে গেছেন তা বিস্মৃত হবার মতো নয়, তাঁর কর্মকান্ডের প্রকৃত মূল্যায়ন একদিন হবেই। এম. তৈয়বুর রহমান ইন্তেকালের আগেও তিনি মুখে আল্লাহু আল্লাহু বলেছেন। মহান আল্লাহ তায়ালা জাতির খেদমতাগারের পরকালের জীবনও সুখী করুন। মরহুমের বিদেহী আত্মা চিরশান্তি লাভ করুন।--আমিন।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়