Wednesday, January 20

চীনকে রুখতে আন্দামানে ভারতের বিশেষ যুদ্ধবিমান ও ড্রোন

চীনকে রুখতে আন্দামানে ভারতের বিশেষ যুদ্ধবিমান ও ড্রোন
কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: আধিপত্যের লড়াইয়ে নেমেছে এশিয়ার দুই বৃহত্তম পরাশক্তি বেইজিং ও নয়াদিল্লি। চীনের পরমাণু ও সাধারণ সাবমেরিন প্রতিদিনই টহল দিচ্ছে ভারত মহাসাগরীয় এলাকার দূরতম দ্বীপাঞ্চলে। দেশটির এ সামরিক কার্যক্রম মোকাবিলায় ভারত তাদের জলসীমার বিস্তর এলাকা টহল দিতে নৌবাহিনীর বিশেষ যুদ্ধবিমান ও ড্রোন মোতায়েন শুরু করেছে। এগুলো আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে থাকা সামরিকঘাঁটি থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

ভারতের সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ভারতের দূরতম দ্বীপাঞ্চল আন্দামান ও নিকোবরের সামরিক স্থাপনায় নজরদারি করতে যুদ্ধবিমান ও গোয়েন্দা ড্রোন পাঠানো হচ্ছে।

এই বিমান ও ড্রোন চীনা সাবমেরিনের বিচরণ পর্যবেক্ষণ করবে। দুই সপ্তাহের মধ্যে নেভাল পোসাইডন-৮১ বিমান ভারতের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপাঞ্চলে পাঠানো হবে। এই বিমান সাবমেরিন অনুসন্ধানে বেশ কার্যকর। এ ছাড়া অস্থায়ী ভিত্তিতে সেখানে সার্চার-টু নামক ড্রোন পাঠাচ্ছে ভারতীয় নৌ ও বিমানবাহিনী।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রের বরাতে বলা হয়েছে, সাবমেরিন ধ্বংসকারী নৌবাহিনীর দুটি পি-৮১ যুদ্ধবিমান কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে দুই সপ্তাহের জন্য মোতায়েন করা হয়েছে। সঙ্গে নৌবাহিনী ও ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সের (আইএএফ) সার্চার-২-এর বিশেষ টহল বিমানও থাকবে। নয়াদিল্লি বলছে, চীনা সাবমেরিনের অবাধ বিচরণ বন্ধ করা ছাড়াও সমুদ্রপথে পাচার বন্ধ এবং বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর জাহাজকে নিরাপত্তা দেয়ায় আন্দামান ও নিকোবরের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির অন্যতম লক্ষ্য।

চীনের হুমকি মোকাবিলায় সামরিক অস্ত্রসরঞ্জাম কিনতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ২০০৯ সালে ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি করে ভারত। চুক্তিতে আধুনিক যুদ্ধবিমান ও সরঞ্জাম কেনার বিষয়টি রয়েছে। এ ছাড়া ভারতের বিভিন্ন এয়ার স্টেশন আধুনিকায়নে সাহায্য করবে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের বিমান প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের কাছ থেকে কেনা যুদ্ধবিমানগুলো তামিলনাডুর বিমানঘাঁটিতে রাখা হয়েছিল। রাডারসমৃদ্ধ বিমানগুলো ঘণ্টায় ৯০৭ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারে এবং একবার জ্বালানি নিয়ে এক হাজার ২০০ নটিক্যাল মাইল উড়তে পারে।

এই বিমানে আছে জলে নিক্ষেপযোগ্য টর্পেডো ও ক্ষেপণাস্ত্র। এ ছাড়া প্রয়োজন পড়লে হারপুন ব্ল্যাক-২ মিসাইল, এমকে-৫৪, রকেট ও পি-৮১ বিমান শত্রুর সাবমেরিন ও যুদ্ধজাহাজ প্রতিরোধ করতে পারে। আরও ৪টি পি-৮১ যুদ্ধবিমান মোতায়েনের চূড়ান্ত অবস্থায় রয়েছে। পোর্ট ব্লেয়ার থেকে পরিচালিত পি-৮১ যুদ্ধবিমানগুলো পুরো অঞ্চলকে নিরাপদ রাখতে সক্ষম হবে। এদিকে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন তার বিতর্কিত দ্বীপপুঞ্জে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জাপানসহ কয়েকটি দেশের সঙ্গে মালিকানা নিয়ে বিরোধ থাকা দক্ষিণ সাগরের নিকটবর্তী উডি দ্বীপাঞ্চল ও প্যারাসেলসে বিমানবন্দর বানাচ্ছে দেশটি।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়