Monday, January 4

ভয়াবহ যতো ভূমিকম্প


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: ঘুমন্ত অবুঝা শিশুটিকে কোলে নিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন বাবা। শিশুটির চোখে মুখেও তখন আতঙ্ক। কোনো কথাই বলছে না, শুধুই তাকিয়ে দেখছে চারদিক। মাও তার পাশে দাঁড়িয়ে আতঙ্ক নিয়ে। সোমবার ভোর ৫টা ৫ মিনিটে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার পর এভাবেই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে সারাদেশের মানুষ। ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে মনিপুরের ইম্ফল থেকে ২৯ কিলোমিটার পশ্চিমে ভূমিকম্পের উৎসস্থল বলে জানা গেছে। আর ঢাকা থেকে ৩৫২ কিলোমিটার পূর্ব উত্তর-পূর্ব দিকে। এ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে একজন এবং মনিপুরে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে আহত হয়েছে অনেকেই। এবার দেখে নেয়া যাক ১৯০০ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত বড় ভূমিকম্পের তালিকা: ২২ মে, ১৯৬০: দক্ষিণ চিলিতে ভয়াবহর ভূমিকম্প ও সুনামির কারণে কমপক্ষে ১,৭১৬ জনের মৃত্যু হয়৷ রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৯.৫৷ ২৮ মার্চ, ১৯৬৪: আলাস্তার প্রিন্স উইলিয়াম সাউন্ডে ভূমিকম্পের কারণে ১৩১ ও সুনামির জন্য কমপক্ষে ১২৮ জনের মৃত্যু হয়৷ রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৯.২৷ ২৬ ডিসেম্বর, ২০০৪: ভূমিকম্পের পর ইন্দোনেশিয়ায় সুনামির কারণে মৃত্যু হয় প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার লোকের৷ সারা বিশ্বেই এর প্রভাব পড়ে৷ রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৯.১৷ ১১ মার্চ, ২০১১: জাপানে এই দিনেই আছড়ে পড়ে সুনামি৷ প্রায় ১৮,০০০ জনের মৃত্যু হয়৷ রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৯৷ ৪ নভেম্বর, ১৯৫২: ভয়াবহ ভূমিকম্পের ফলে রাশিয়া থেকে অদূরে ইস্ট কোস্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ এছাড়াও হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে প্রায় ৩০ মিটার উঁচু জলোচ্ছ্বাস দেখা যায়৷ রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৯৷ ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১০: চিলি উপত্যকায় ভূমিকম্প ও সুনামির ফলে ৫২৪ জনের মৃত্যু হয়৷ রিখাটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৮.৮৷ ৩১ জানুযারি, ১৯০৬: ইকুয়েডরে ভয়াবহ সুনামির কারণে প্রায় ৫০০ জনের মৃত্যু হয়৷ রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৮.৮৷ ৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৫: ভূমিকম্পের কারণে আলাস্কার রাট আইল্যন্ডে ১১ মিটার উচুঁ সুনামি আছড়ে পড়ে৷ রিখটার স্কেলে ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৮.৭৷ ২৮ মার্চ, ২০০৫: ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ সুমাত্রায় ভূমিকম্পের জেরে প্রায় ১৩০০ জনের মৃত্যু হয়৷ কম্পনের মাত্রা ছিল ৮.৬৷ ১৫ আগস্ট, ১৯৫০: তিব্বতে ভয়াবহ ভূমিকম্পের জেরে প্রায় ৭৮০ জনের মৃত্যু হয়৷ রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৮.৬৷ ১১ এপ্রিল, ২০১২: ইন্দোনেশিয়ার উত্তর সুমাত্রায় আছড়ে পড়ে সুনামি৷ এর জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আশপাশের বহু দেশ৷ রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৮.৬৷ ৯ মার্চ, ১৯৫৭: আলাস্কার অ্যান্ড্রিয়ানফ আইল্যান্ডে ১৬ মিটার উঁচু সুনামি আছড়ে পড়ে৷ রিখাটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৮.৬৷ ১২ সেপ্টেম্বর, ২০০৭: ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রার কাছে ভূমিকম্পের ফলে প্রায় ২৫ জনের মৃত্যু হয়৷ রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৮.৫৷ ১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৮: ইন্দোনেশিয়ার বান্দ্রা সমুদ্রে সুনামি হয়৷ রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৮.৫৷ ৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯২৩: রাশিয়ার কামচাটকা এলাকায় সুনামি আছড়ে পড়ে৷ মাত্রা ছিল ৮.৫৷ ১১ নভেম্বর, ১৯২২: চিলি আর্জেন্টিনা সীমান্তে সুনামি হয়৷ চিলি উপত্যকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৮.৫৷ ১৩ অক্টোবর, ১৯৬৩: কুরলি আইল্যান্ডে সুনামি আছড়ে পড়ে৷ রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৮.৫৷ ২৬ জানুয়ারি, ২০০১: গুজরাটে ভূমিকম্পের জেরে মৃত্যু হয় প্রায় ১৯.৭২৭ জনের৷ এছাড়াও আহত হয় প্রায় ১৬৬,০০০ জনের৷ রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৯৷ ২৫ এপ্রিল,২০১৫: হঠাৎ সকালে কেঁপে ওঠে নেপাল। ভমিকম্পন অনুভূত হয় বাংলাদেশ, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছিল ১০ হাজার। ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৮৷

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়