Tuesday, December 8

সাতক্ষীরায় কমেছে শীতকালীন সবজি আবাদ

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
সাতক্ষীরায় শীতকালীন সবজির আবাদ কমেছে। গত বছরের তুলনায় অন্তত ৩০ শতাংশ সবজি উৎপাদন কম হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। জেলায় এবার অতি বর্ষার পাশাপাশি জলাবদ্ধতার কারণে সময়মতো সবজির আবাদ করতে পারেনি কৃষকরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলার সাতটি উপজেলায় বিভিন্ন প্রকার শীতকালীন সবজির আবাদ হয়েছে ৬ হাজার ২৪৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদরে এক হাজার ৯৫০ হেক্টর, কলারোয়ায় এক হাজার ৩০০ হেক্টর, তালায় ৮৯০ হেক্টর, দেবহাটায় ৩০০ হেক্টর, কালিগঞ্জে ৯৫০ হেক্টর, আশাশুনিতে ৪০৫ হেক্টর ও শ্যামনগরে ৪৫০ হেক্টর। এসব সবজির মধ্যে রয়েছে ফুলকপি, ওলকপি, বাধাকপি, পালং শাক, সিম, বরবটি ও টমেটো।
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার নগরঘাটা গ্রামের সবজি চাষী শহীদুল ইসলাম জানান, গত বছর ৫ বিঘা জমিতে বিভিন্ন রকমের সবজি চাষ করলেও এবার মাত্র দুই বিঘা  জমিতে আবাদ করেছেন।
তিনি জানান, এবার বর্ষার পানি দীর্ঘ সময় জমে থাকার কারণে সময়মতো আবাদ করতে পারেননি। একই অবস্থা তার গ্রামের অধিকাংশ কৃষকেরই।
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়নের মাহমুদপুর গ্রামের কৃষক মফিজুল ইসলাম জানান, দুই বিঘা জমিতে এবার ফুলকপি চাষ করেছেন। তবে অন্যান্য বছরে তুলনায় এবার দেরিতে চারা রোপণ করতে হয়েছে তার।
তিনি বলেন, মৌসুমের শুরুতে সবজি বাজারে না উঠাতে পারলে ভালো দাম পাওয়া যায় না। জমিচাষ, চারা রোপণ, সেচ, সার-কিটনাশক ও শ্রমিকের মজুরি দিয়ে বিঘা প্রতি ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা খরচ হবে তার। সে হিসেবে দুই বিঘাতে ২৫ থেকে ২৬ হাজার টাকা উৎপাদন খরচ ওঠানেরা পর লাভের চিন্তা করতে হবে। কিন্ত এবার সময়মতো বাজারে ফুলকপি তুলতে না পারায় লোকসানের আশঙ্কা করছেন তিনি।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কাজী আবদুল মান্নন পরিবর্তন ডটকমকে জানান, সাতক্ষীরার সকল উপজেলাতেই বারো মাসই সবজি চাষ হয়ে থাকে। কিন্ত এবারের শীতকালীন সবজির আবাদ গত বারের তুলনায় কিছুটা কম হয়েছে। তার কারণ এবার জেলায় অতিবৃষ্টি হওয়ার ফলে সবজির আবাদ উপযোগী জমিতে দীর্ঘ সময় ধরে পানি জমেছিল। আর এই জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করতে না পারায় কৃষকরা সময়মতো সবজির আবাদ করতে পারেনি।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়