Wednesday, December 2

এইডস রোধে ইসলামি অনুশাসন


ইসলাম ডেস্ক: ১ ডিসেম্বর বিশ্বজুড়ে পালিত হবে বিশ্ব এইডস দিবস। প্রাণঘাতী এইডস থেকে মানুষকে সচেতন করতেই পালন করা হয় দিবসটি। এইডস মানবদেহের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্বংস করে দেয়। এখনও এই মারণব্যাধির কোনো ওষুধ বের হয়নি। এইডসের প্রধান কারণ হলো অনিরাপদ যৌনতা। তাই মানুষকে এই অনাকাঙ্ক্ষিত নির্ঘাত মৃত্যু থেকে বাঁচাতেই ব্যভিচার ও সমকামিতার মতো অনিরাপদ যৌনতার ব্যাপারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইসলাম। ইরশাদ হচ্ছে, ‘তোমরা ব্যভিচারের নিকটবর্তীও হয়ো না।’ (সুরা বনি ইসরাইল : ৩২) যারা নিজ চরিত্র হেফাজত করবে, তাদের জন্য পুরস্কারের ঘোষণা করেছে ইসলাম। রাসুলে কারিম (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দুই চোয়ালের মধ্যবর্তী স্থান (জিহ্বা) এবং দুই উরুর মধ্যবর্তী স্থান (যৌনাঙ্গ) এই দুটি জিনিসের হেফাজতের দায়িত্ব নেবে, আমি তার জান্নাতের দায়িত্ব নেব।’ (বুখারি: ৮/১০০) অনিরাপদ যৌনতা কমলে কমবে এইডস আর এইডস কমলেই কমবে অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু। ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী যদি অবৈধ যৌনতার জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হয় তাহলে যৌনতার পরিমাণ অনেক নিচে নেমে আসবে। আর যদি একেবারেই কমে আসে, তাহলে তো আর মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার প্রয়োজনও হবে না। এভাবেই একটি প্রাণের বিনিময়ে গোটা জাতি বেঁচে যাবে যৌনতা থেকে। বাঁচবে এইডস থেকে। এইডস প্রথম ধরা পড়ে সমকামীদের মধ্যে। ইসলামের সমকাম ব্যভিচারের চেয়েও জঘন্য অন্যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যাদের তোমরা লুতের সম্প্রদায়ের কাজে (সমকামে) লিপ্ত দেখবে, তাদের উভয়কেই হত্যা করো।’ সমকামিতা ও অবাধ যৌনতাই এইডসের মতো প্রাণঘাতী রোগের কারণ। ইসলামের মতো কল্যাণধর্মী জীবনবিধান কী করে সমকামিতার পক্ষে থাকবে! তাই তো তাবরানি ও বায়হাকি শরিফের হাদিসে এসেছে, ‘চার ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা আল্লাহর গজব ও আক্রোশে পতিত হয়। মহিলার বেশধারী পুরুষ, পুরুষ বেশধারী মহিলা, পশু মৈথুনকারী এবং সমকামী।’ এইডসের মতো ভয়াবহ ও প্রাণঘাতী রোগ থেকে বাঁচতে ওষুধ আবিষ্কারের চেষ্টার পাশাপাশি ইসলামি অনুশাসন মেনে চলার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। রাষ্ট্র, সমাজ ও পরিবারে সবাই ইসলামী অনুশাসন মেনে চললে পার্থিব অনেক ধরনের সমস্যা ও সংকট থেকে আমরা বেঁচে থাকতে পারবো।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়