Monday, December 14

শীতে শিশুর যত্ন


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: শীত প্রায় এসেই গেছে। নতুন মৌসুম সঙ্গে করে বেশ কিছু অসুখ-বিসুখ নিয়ে আসে। এই গরম-ঠাণ্ডার সন্ধিক্ষণে সব থেকে সমস্যায় পরে শিশু এবং বৃদ্ধরা। বিশেষ করে যাদের বয়স ছয় বছরেরও কম। সমস্যা হলো, শরীর হঠাৎ খারাপ হলেও মুখ ফুটে বাবা-মাকে সেটা জানানোর ক্ষমতা থাকে না তাদের। সে ক্ষেত্রে আগে সতর্ক হোন বাবা-মায়েরা। একটু সাবধানতা অবলম্বন করলে আপনার আদরের সোনামণি অনেক ধরণের শারিরীক অসুস্থতা থেকে দূরে রাখতে পারবেন। ১) এই সময় শিশুদের একদম ঠাণ্ডা লাগতে দেবেন না। যতটা সম্ভব তাদের গরম কাপড়ের পোশাক পরিয়ে রাখুন। অনেক সময় আপনাদের হয়ত মনে হবে, ঠিক শীত শীত করছে না। কিন্তু নিজেকে দিয়ে কখনই বাচ্চাদের বিচার করবেন না। বাচ্চারা আসলে অনেক বেশি সংবেদনশীল, চট করে তাদের ঠাণ্ডা লাগার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। তাই এখন থেকেই, বিশেষ করে রাতের বেলা ছোট ছোট বাচ্চাদের গরম পোশাকে ঢেকে রাখুন। ২) মৌসুম বদলালে অনেক সময়ই খুসখুসে কাশি, হাঁচিতে ভোগে শিশুরা। এ রকম হলে কখনই বাচ্চাকে আগে ভাগে অ্যান্টিবায়োটিক খাইয়ে দেবেন না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় এই সবের কারণ আসলে ভাইরাল সংক্রমণ। সে ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিকে কোনও কাজই হয় না। বরং হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। অকারণ অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগের ফলে শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক রেসিসট্যান্ট তৈরি হয়। পরবর্তীকালে অসুখ হলে ওষুধে সারার সম্ভাবনা কমে। নাক বন্ধ হয়ে গেলে দিনে অন্তত দুই তিন বার সাধারণ স্যালাইন নেসাল ড্রপ ব্যবহার করুন। জ্বর হলে খাওয়ান প্যারাসিটামল সিরাপ। বাড়াবাড়ি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ৩)এই সময় শিশুরা প্রায়শই রেসপিরেটরি ট্রাক ইনফেকশনে ভোগে। খেয়াল রাখুন, ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় আপনার সন্তান সাঁইসাঁই শব্দ করছে না তো? এরকম হলেই অতিরিক্ত সতর্ক হন। যদি সম্ভব হয় বাড়িতে হিটার রাখুন। না হলে, ছোট শিশুদের শরীর গরম রাখার দিকে মন দিন। একদম ছোট বাচ্চাদের যতটা সম্ভব মায়ের কাছাকাছি থাকাই ভাল। এই সময় মায়ের বডি কন্ট্যাক্টে, মায়ের শরীরের তাপ শিশুদের সুস্থ্ থাকতে সাহায্য করে। ৪)শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে কালবিলম্ব না করে চিকিৎসকের শরনাপন্ন হন।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়