Wednesday, December 2

মোদি-শরিফের সঙ্গে ‘পরোক্ষ যোগাযোগ’ হয় নিয়মিত


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ আবারও উষ্ণ করমর্দনে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন । ফলে দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনাময় সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার আলোচনা শুরু হতে পারে বলে আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন অনেক বিশ্লেষক। তবে এবারের স্থান প্যারিস আর উপলক্ষ জাতিসংঘ আয়োজিত জলবায়ু সম্মেলন। এই ‘দেখা হয়ে যাওয়া’ প্রসঙ্গে শরিফের মন্তব্য, ‘ভালো’। ফলে দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনাময় সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে এমনটাই আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। খবর হিন্দুস্তান টাইমস ও ডনের। এর মানে এই নয় যে এই দুই নেতার মধ্যে দেখা হওয়ার উপলক্ষ শুধু এই আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে দিয়েই আসে। জানা গেছে, তাদের মধ্যে নিয়মিত পরোক্ষ যোগাযোগও রয়েছে। অন্তত ভারতের প্রখ্যাত সাংবাদিক বারখা দত্তের দাবি তেমনই। প্যারিসে গত সোমবার দুই নেতা সৌজন্য বিনিময় করেন। বিষয়টি পরিকল্পিত না হলেও সম্মেলনের ফাঁকে এমন সুযোগ তৈরি হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। মোদি সম্মেলনে যোগ দিতে আসা নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে হোটেলের লাউঞ্জে গিয়ে দেখেন সেখানে শরিফও বসে আসেন। মোদি নিজেই তার দিকে এগিয়ে যান। দুই নেতা উষ্ণ করমর্দন করেন। সোফায় বসে কিছুক্ষণ কথাও বলেন তারা। এই সংক্ষিপ্ত আলাপচারিতাকে শরিফ ‘ভালো’ বলে অভিহিত করলেও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিকাশ স্বরূপ জানান, দুই নেতার মধ্যে ‘সৌজন্য বিনিময়’ হয়েছে মাত্র। পরে পাকিস্তান প্রতিনিধিদলের সদস্য আলী তারিক বলেন, ‘‘প্যারিস সম্মেলনে এসে তারা একে অন্যকে এড়িয়ে চলতে পারতেন না। কাজেই তারা দেখা করেছেন। এ ছাড়া বহু শুভাকাঙ্ক্ষী চান, তারা দেখা করুন। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সম্প্রতি যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে তা কিছুটা কমে আসুক। এখানে বরফ গলার মতো ঘটনা ঘটতে হবে এমন কোনো বিষয় নেই।’’ তবে প্রকাশ্যে এমন ছবি তোলার মতো অনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই দুই নেতার মধ্যে নিয়মিত পরোক্ষ যোগাযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে। ভারতের টিভি সাংবাদিক বারখা দত্ত তাঁর প্রথম বই ‘দিস ইউনিক ল্যান্ড-স্টোরিজ ফ্রম ইন্ডিয়াস ফল্ট লাইন’-এ বেশ কিছু তথ্যসহ এমন চিত্রই তুলে ধরেছেন। আজ বুধবার বইটি বাজারে আসছে। এতে বলা হয়, ভারতের ইস্পাত ব্যবসায়ী সজ্জন জিন্দালের মাধ্যমে দুই নেতার মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে। তাদের মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের আয়োজনও করেছেন এই ব্যবসায়ী। গত বছর নেপালে সার্ক সম্মেলনের ফাঁকে দুই নেতার মধ্যে যে বৈঠক হয় এর মূল উদ্যোক্তা তিনি। এর আগে-পিছের যোগাযোগের মাধ্যমও তিনি। দুই নেতার ইচ্ছায়ই পরোক্ষ যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। তবে বারখার এ দাবির ব্যাপারে জিন্দালের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। মন্তব্য করেনি ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তরও।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়