Wednesday, November 11

সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে সরকার


ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ্ বলেছেন, একটি গোয়েন্দা সংস্থার সদর দপ্তরের কাছে পুলিশের ওপর হামলা হয়েছে। দেশে কারও জীবনের নিরাপত্তা নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিএনপি তথা বিরোধী দলের বিরুদ্ধে লাগিয়ে সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে সরকার। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে না। অধিকাংশ সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের। তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। তাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই। আজ বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী জিয়া সমারজকল্যাণ পরিষদ আয়োজিত ঐতিহাসিক সিপাহী বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। হান্নান শাহ বলেন, আওয়ামী লীগের রক্ষী বাহিনীর ধ্যান-ধারণা ভুলে যায়নি। আমরা আশঙ্কা করছি সরকার আবারও রক্ষী বাহিনী করে কিনা। রক্ষী বাহিনীর অত্যাচারে গ্রামগঞ্জের মানুষ থাকতে পারেনি। আর এখন সরকারের সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ট। প্রতিদিন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ সন্ত্রাস করছে। এ সরকার তো পুরস্কার আর সার্টিফিকেট প্রাপ্তিতে সেরা। হয়তো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় সন্ত্রাসের জন্য সার্টিফিকেট দিয়ে দেবে। তিনি বলেন, আজকে দেশ বিশৃঙ্খলার দিকে যাচ্ছে। শান্তি রক্ষার নামে পুলিশ সারা দেশে অভিযান চালিয়ে বাণিজ্য করছে। কতজনকে গ্রেপ্তার করবে। ইতোমধ্যে ৩৫ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে জেলে রেখেছে। বিএনপি তৃণমূল নিয়ে রাজনীতি করে। বিএনপি আওয়ামী লীগের মতো সন্ত্রাসী নিয়ে রাজনীতি করে না। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে হান্নান শাহ বলেন, বিদেশি নাগরিক হত্যায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বলে দিলেন বিএনপি-জামায়াত জড়িত। আর তদন্ত কর্মকর্তারা বলেছেন, এখনও কোনো ক্রু পায়নি। আসল কথা হলো ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা শামীম ওসমান বলেছেন, কর্মী তৈরি করেছি কম; বড় ভাই তৈরি করেছি বেশি। তাহলে তার কাছ থেকে বড় ভাইদের লিস্ট নিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করুন। খালি খালি বিএনপি নেতাদের দোষ দিয়ে লাভ হবে না। বিএনপির এই নেতা বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের পুনর্জন্ম হয়েছিল। বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে উন্নতির দিকে যেতে শুরু করে। জিয়াউর রহমান বাকশাল বিলপ্ত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করায় জিয়া পরিবারের প্রতি আওয়ামী লীগের ক্ষোভ। আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম গিয়াস উদ্দিন খোকনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মাদ ইব্রাহিম বীরপ্রতীক প্রমুখ।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়