Tuesday, November 24

জাতীয় ফুটবল দলের নতুন কোচ মারুফুল


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: জাতীয় দলের নতুন কোচ হিসেবে মারুফুল হককে দায়িত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। আশানুরূপ ফল এনে দিতে ব্যর্থ হওয়ায় জাতীয় দলের কোচ ফাবিও লোপেজকে বরখাস্ত করে তার জায়গায় মারুফুলকে দায়িত্ব দেওয়া হলো। মঙ্গলবার ন্যাশনাল টিমস কমিটি লোপেজের অধীনে বাংলাদেশ দলের গত পাঁচ ম্যাচের পারফরম্যান্স মূল্যায়নে বসেছিল। আলোচনা শেষে ন্যাশনাল টিমস কমিটির সভাপতি কাজী নাবীল আহমেদ সাংবাদিকদের লোপেজকে বিদায় করে দেওয়ার কথা জানান। মারুফুল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। গত সেপ্টেম্বরে লোডভিক ডি ক্রুইফকে বিদায় করে দিয়ে ইতালিয়ান লোপেজের হাতে জাতীয় দলের দায়িত্ব তুলে দিয়েছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। সে সময় সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী ডিসেম্বর শুরু হওয়া সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন লোপেজ। ক্রুইফের বিদায়ের পর বাংলাদেশ কোচ হিসেবে লোপেজের শুরুটা হয় হার দিয়ে। ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপের এশিয়া অঞ্চলের বাছাইয়ের ম্যাচে কিরগিজস্তানের মাঠে ২-০ গোলে হারে মামুনুলরা। এরপর তাজিকিস্তানের মাঠে ৫-০ গোলের হারে লোপেজের কোচিং কৌশল নিয়ে প্রশ্ন উঠে। নির্ভরযোগ্য মিডফিল্ডার মামুনুল ইসলামকে রাইট উইংয়ে, ফরোয়ার্ড শাখাওয়াত হোসেন রনি ও আবুল বাতেন মজুমদার কমলকে মিডফিল্ডে খেলানোর কৌশল ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। অথচ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের একমাত্র জয়ের প্রত্যাশা ছিল তাজিকিস্তানের বিপক্ষেই। এ দলটির সঙ্গে নিজেদের মাঠে ক্রুইফের অধীনে মামুনুলরা ১-১ গোলে ড্র করে সে প্রত্যাশায় বাড়তি মাত্রা যোগ করেছিল। কিন্তু তাজিকিস্তানের মাঠে লোপেজের শিষ্যরা ৫-০ ব্যবধানে গুঁড়িয়ে যায়। গত ১৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৪-০ গোলের হারে স্বাগতিকরা। চীনের ইউনানে আসিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল ওপেন নামের আমন্ত্রণমূলক টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দলের ব্যর্থতায় লোপেজকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়াটা সহজ করে দেয়। আমন্ত্রণমূলক এই টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে এগিয়ে গিয়েও মিয়ানমারের ক্লাব হান্থারওয়েডি ইউনাইটেডের কাছে ৩-২ গোলে হারে মামুনলরা। দ্বিতীয় ম্যাচে চীনের দল লিজিয়ানের কাছে বাংলাদেশের হার ২-১ গোলে। ফুটবল ক্যারিয়ারে লোপেজ ছিলেন গোলরক্ষক। খেলোয়াড় হিসেবে তার ক্যারিয়ার লম্বা নয়। ক্লাব পর্যায়ে ৪০ টি ম্যাচ খেলেছেন ১৯৯২ এর দিকে। তারপরই হাঁটুর চোট তাকে ছিটকে দেয় মাঠ থেকে। বাংলাদেশকে দিয়েই শুরু হয়েছিলো তার কোচিং ক্যারিয়ারের অধ্যায়। এর আগে নিজ দেশের ক্লাব এএস রোমার একাডেমির দায়িত্বে ছিলেন। কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন লিথুয়ানিয়া, মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার ক্লাব পর্যায়ে।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়