কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
পবিত্র কোরআন মানবতার সংবিধান। সব মানুষের মুক্তির বাণী। মানবতার যে কোনো সমস্যায় কোরআনের প্রতি দৃষ্টিপাত করলেই তার সুষ্ঠু ও সুন্দর সমাধান পাওয়া যায়। সন্ত্রাস একটি মারাত্মক সমস্যা। এরই মধ্যে যা মহামারি আকার ধারণ করছে। গত ক'দিনে বেশ ক'টি হত্যাকান্ড ঘটেছে। এ থেকে উত্তরণের জন্য বিভিন্নজন বিভিন্ন কৌশলের প্রস্তাব দিচ্ছে। কিন্তু কেউ কোরআনের প্রতি মনোনিবেশ করছে না।
আল্লাহ পবিত্র কোরআনে সূরা মায়েদার ৩৩নং আয়াতে ঘোষণা করেন, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের সঙ্গে যুদ্ধ করে এবং দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয় তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে, তাদের হত্যা করা হবে অথবা শূলে চড়ানো হবে। নতুবা তাদের হস্তপদ বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে কিংবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। এটি হলো তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা। আর পরকালে তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি। (সূরা মায়েদা : ৩৩)। উপরোক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় আল্লামা কুরতুবি (রহ.) বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চার ধরনের। যথা-
১. হত্যাও করে লুণ্ঠনও করে।
২. হত্যা করে লুণ্ঠন করে না।
৩. হত্যা করে না, লুণ্ঠন করে।
৪. ত্রাস সৃষ্টি করে ভয় দেখায়।
চার ধরনের সন্ত্রাসের চারটি শাস্তি বর্ণিত হয়েছে ওই আয়াতে। ১. যারা অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করে তাদের হত্যা করতে হবে। ২. আর যারা হত্যাও করে লুণ্ঠনও করে তাদের শূলে চড়ানো হবে। ৩. যারা লুণ্ঠন করে তাদের হস্তপদ বিপরীত দিক থেকে কেটে ফেলা হবে। ৪. দেশ থেকে বহিষ্কার করতে হবে।
যদি মানুষের মনে ভীতি সঞ্চার করার পরে সন্ত্রাসী তওবা করে তাহলে বিচারক তাকে মুক্তি দেবে নতুবা সন্ত্রাসীকে জেলহাজতে প্রেরণ করবে। আর সাধারণত কোরআনের বিধান হচ্ছে, মানুষকে প্রথমে নসিহতের দ্বারা সংশোধন করা। দ্বিতীয়ত শাস্তি দেয়া।
কোরআনের কোথাও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডকে প্রশ্রয় দেয়া হয়নি। আল্লাহ বলেন, 'আর তোমরা ভূপৃষ্ঠে ফেতনা-ফ্যাসাদ সৃষ্টি করো না।' (সূরা আরাফ : ৫৬)। এরশাদ হচ্ছে, 'তোমরা অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করো না।' (সূরা আনআম : ১৫১)। সূরা মায়েদার ৩৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, 'যে ব্যক্তি মানুষ হত্যার অপরাধ বা পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক কাজের হেতু ব্যতীত কাউকে হত্যা করল, সে যেন সব মানুষকে হত্যা করল।' সূরা নিসার ৯৩নং আয়াতে এরশাদ হচ্ছে, 'আর যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো মোমিনকে (অন্যায়ভাবে) হত্যা করবে, তার শাস্তি হলো জাহান্নাম। মহান আল্লাহ তার প্রতি রুষ্ট হবেন। তাকে অভিসম্পাত করবেন এবং তার জন্য জাহান্নামের মহা শাস্তি প্রস্তুত রাখবেন।'
মহান আল্লাহ তায়ালা সন্ত্রাসের প্রতি কঠোর হুমকি প্রদর্শন করেই ক্ষান্ত হননি বরং প্রিয়নবী (সা.) এর মাধ্যমে এসব বিধানাবলি বাস্তবায়নও করেছেন। যার ফলে আইয়ামে জাহিলিয়াতের কালো কলঙ্কের মানুষগুলো সোনার মানুষে পরিণত হয়ে গিয়েছিলেন। প্রাপ্ত হয়েছিলেন জান্নাতের সু-সংবাদ। সেই বর্বর যুগের মানুষের ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'আর তোমরা ছিলে আগুনের গর্তের কিনারায়। অতঃপর তিনি তোমাদের তা থেকে রক্ষা করেছেন। এভাবেই আল্লাহ নিজের নিদর্শনগুলো প্রকাশ করেন। যাতে তোমরা হেদায়েত প্রাপ্ত হও।' (সূরা আলে ইমরান : ১০৩)।
* মোস্তফা ওয়াদুদ
Thursday, November 26
এ সম্পর্কিত আরও খবর
জুমার দিন যে দোয়া পাঠে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হয়ইসলামে জুমার দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত। এই দিনে এমন কিছু সময় আছে যখন আল্লাহ তার বান্দা
কানাইঘাটে প্রবাসীদের টাকায় নির্মিত হচ্ছে হাসপাতালনিজস্ব প্রতিবেদক:জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার গাছ
কঠিন বিপদে যে দোয়া পড়েছিলেন ইব্রাহিম (আ.) ও মুহাম্মাদ (সা.) ইসলামের শিক্ষা হলো, ভালো ও খারাপ সব অবস্থায় মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহর ওপর ভরসা করতে হব
ইসমাঈল আ. যে বিশেষ গুণের অধিকারী ছিলেন খলিলুল্লাহ হজরত ইবরাহিম আ.-এর বড় সন্তান ছিলেন হজরত ইসমাঈল আ.। তিনি মা হাজেরার গর্ভজাত ছিলেন।
কানাইঘাটে জেলা প্রশাসকের দেওয়া বক্তব্য সর্বমহলে প্রশংসিতনিজস্ব প্রতিবেদক:কানাইঘাট উপজেলার বিভিন্ন দফতরের প্রধান, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং সুধীজনদের সাথে ম
অভাব মোচনে নবীজি যে নির্দেশনা দিয়েছেন মহান আল্লাহ মাঝে মাঝে মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য অভাব-অনটন, বিপদ-আপদ দান করেন। নবীজি (সা.) ও স
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়