Tuesday, November 10

মিথ্যা সাক্ষ্যের পরিণতি ভয়াবহ


ইসলাম ডেস্ক: মিথ্যা কথার মতোই মিথ্যা সাক্ষ্যও মহাপাপ। কাউকে ফাঁসানোর জন্য মিথ্যা সাক্ষ্য দিলে এর ভয়াবহ পরিণতির কথা কোরান-হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদাররা! তোমরা সত্য সাক্ষ্য দেয়ার ব্যাপারে অটল থাকো, যদিও সে সাক্ষ্য তোমাদের নিজেদের বিরুদ্ধে, পিতামাতা অথবা নিকটাত্মীয়ের বিরুদ্ধে হয়, অথবা ধনী বা গরিবের বিরুদ্ধে হয়। তাদের অপেক্ষা আল্লাহই বেশি কল্যাণকামী। সুতরাং তোমরা ন্যায়বিচার কর।’ প্রকৃত অবস্থা বা বাস্তবতাকে অস্বীকার করে কিংবা সত্য ঘটনাকে বিকৃত করে যে ব্যক্তি মিথ্যা বলে তাকে মিথ্যাবাদী বলে। মিথ্যাবাদীকে কেউ ভালোবাসে না, সবাই ঘৃণা করে। এটা মুনাফিকের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। মিথ্যাচার সম্পর্কে মহান আল্লাহর ঘোষণা-‘আর যে ব্যক্তি নিজে কোনো অন্যায় বা পাপ কাজ করে অতঃপর কোনো নির্দোষ ব্যক্তির ওপর তার দোষ চাপিয়ে দেয়, সে যেন নিজেই জঘন্য মিথ্যা ও প্রকাশ্য গুনাহ বহন করল। এখানে না জেনে অন্যের সম্পর্কে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়াও অন্তর্ভুক্ত। হজরত আবু বাকারাতা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন আমরা নবী করিমের (সা.) দরবারে উপস্থিত ছিলাম। হঠাৎ তিনি বললেন, ‘আমি কি তোমাদের সবচেয়ে বড় গুনাহের কথা বলে দেব না?’ কথাটা তিনি তিনবার বললেন। এরপর তিনি বললেন, ‘তা হচ্ছে আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করা, পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া এবং মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া বা কথা বলা।’ সাক্ষ্য এমন একটি বিষয় যা একজন মানুষকে মুক্তি দেয় অথবা বিপদে ফেলে। একটি সত্য সাক্ষ্য কোনো একজন নির্যাতিত মানুষকে বিপদ থেকে মুক্তি দিতে পারে। অপর দিকে একটি মিথ্যা সাক্ষ্যের মাধ্যমে একজন ভালো মানুষের জেল-জুলুম বা আরো বড় কোনো সাজা হয়ে যেতে পারে। সুতরাং কিছুতেই মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া যাবে না। এমনকি আমাদের পিতা-মাতা, ভাই-বোন বা অন্য কোনো আত্মীয়স্বজন মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে তৈরি হলেও তাদের তা থেকে বিরত রাখতে হবে। আর মিথ্যা সাক্ষ্য থেকে বাঁচতে হলে আমাদের অবশ্যই সত্যের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। কারণ সত্য মানুষকে মুক্তি দেয়, মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। সাক্ষ্য যদি একান্ত দিতেই হয় তবে সত্য সাক্ষ্য দিতে হবে। অপরদিকে মিথ্যা সাক্ষ্য না দিয়ে প্রয়োজনে সাক্ষ্য দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়