Wednesday, July 1

পায়ে হেঁটে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ জয় কিংবা সমুদ্র চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার নতুন নতুন গল্প তো আমরা মাঝে-মধ্যেই শুনি। কিন্তু পায়ে হেঁটে দেশের এমাথা থেকে ওমাথা ভ্রমণের কথা কমই শোনা হয়। পায়ে হেঁটেই বাংলাদেশের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পাড়ি দিয়েছে এমনই এক অদম্য তরুণ। তিনি জিয়াউর রহমান। হিসাববিজ্ঞান বিভাগে শেষ বর্ষে পড়ছেন সরকারি তিতুমীর কলেজে। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া- পুরো বাংলাদেশ। সেই তেতুলিয়ারই বাংলাবান্ধা থেকে ২ এপ্রিলে থেকে ‘এক্সপ্লোর বাংলাদেশ’ স্লোগান নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছিলেন নরসিংদীর এই স্বপ্নবাজ তরুণ। দীর্ঘ ৪৪ দিন পায়ে হেঁটে কক্সবাজারের টেকনাফে পৌঁছে বিরল এই কীর্তিটি গড়েন ২ জুন। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সার্বিক তত্ত্বাবধানে পায়ে হেঁটে দেশ ভ্রমনের এই কার্যক্রমটি আয়োজন করে ঢাকা ক্লাব। নিছক রেকর্ডের জন্যই জিয়াউরের এই পদযাত্রা ছিল না। তিনি বলেন, ‌’বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন এবং পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা তৈরিতে পুরো বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণই ছিল আমার এ রেকর্ডের মূল উদ্দেশ্য। বাংলাদেশ ২০১৬ সালকে পর্যটন বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে যেখানে এই রেকর্ডটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।’ দেশ ভ্রমনের বিষয়টা জিয়াউরের জন্য এইবারই প্রথম না। এর আগেও ‘সবার জন্য শিক্ষা’র বার্তা নিয়ে সাতজনের একটা দল নিয়ে পুরো বাংলাদেশ হেঁটে ঘুরে এসেছেন। তবে এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এবার একাই তিনি হেঁটে বাংলাদেশ পাড়ি দিয়েছেন। একা একা তেতুলিয়া থেকে টেকনাফ পাড়ি দেবার সিদ্ধান্তটা ছিল অত্যন্ত সাহসী সিদ্ধান্ত। তার চলার পথ স্বাভাবিকভাবেই সহজ ছিল না। একা চলতে চলতে কখনও ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন আবার কখনও অসুস্থ। চলতি পথের বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিতে তাকে কখনও কখনও ডাক বাংলোতে অবস্থান করতে হয়েছে। এত কিছু সত্ত্বেও তিনি মনোবল হারান নি। শুধু দৃঢ় মানসিকতার কারণেই প্রায় দেড় মাসের এই পথ পাড়ি দিতে পেরেছিলেন তিনি। এত কিছুর পরেও জিয়াউর তার বাংলাদেশ ভ্রমণ উপভোগ করেন। পথে পথে নানা বর্ণের নানা ধর্মের মানুষের সাথে তার সাক্ষাৎ হয়েছিল। বিভিন্ন জেলার দর্শনীয় জায়গাগুলোর ছবি তুলেছেন তিনি। জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমরা এ অভিযান নিয়ে বই প্রকাশ করা হবে। বিভিন্ন জেলার দর্শনীয় স্থান ও বিখ্যাত ব্যক্তিদের জীবনী সম্পর্কে জনাার সুযোগ হয়েছে আমার। সেসবও জায়গা পাবে বইয়ে।’

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়