Saturday, June 13

হানিফের মুখে বি চৌধুরীর প্রশংসা


ঢাকা: বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে কৃতজ্ঞ বললেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। শনিবার দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে প্রিন্সিপাল শাহজাহান ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘যুগপূর্তি, শেকড়ের সন্ধানে গ্রন্থের প্রকাশনা এবং গুণীজন সংবর্ধনা’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। হানিফ বলেন, বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে আমি ধন্যবাদ দিই। এই লোকটির মধ্যে কৃতজ্ঞতাবোধ আছে। কারণ জিয়াউর রহমান যখন দল গঠন করেন তিনি প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ছিলেন, দীর্ঘদিন এই দলের সঙ্গে ছিলেন। ২০০১ সালে বিএনপি উনাকে রাষ্ট্রপতি বানায়। ক্ষমতার দ্বন্দ্বে উনাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করানো হয়। উনার বিদায় স্বাভাবিক ছিল না। এখন তিনি বিএনপির মঙ্গল চান। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব হিসেবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তাই তিনি বলেছেন বিএনপি জামায়াত না ছাড়লে রাজনীতিতে উঠে আসার সুযোগ নেই। এই কথা আমরা প্রথম থেকেই বলছি। শেখ হাসিনা বেগম খালেদা জিয়াকে বলেছিলেন, আপনি নিজে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী হিসেবে দাবি করেন আর যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের পক্ষ হয়ে মাঠে নামেন। এটা বাংলার মানুষ ভালো মনে করে না। আপনি এটা থেকে বেরিয়ে আসুন। খালেদা জিয়া বের হননি। আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপির মধ্যেই গুঞ্জন উঠেছে খালেদা জিয়া ব্যর্থ নেত্রী। প্রধানমন্ত্রী-বিরোধী দলীয় নেত্রী হিসেবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। বিরোধী দলীয় নেত্রী হিসেবে বার বার ভুল সিদ্ধান্তের কারণে দল ব্যর্থ হয়েছে। তিনি ব্যর্থ নেত্রীতে পরিণত হয়েছে। বিএনপির ভালো নেতারা মনে করছেন এই নেত্রীর পেছনে বিএনপিকে ঢেলে সাজানো সম্ভব নয়। তাই দল থেকে খালেদা ও তারেককে বাদ দিয়ে বিএনপিকে ঢেলে সাজালে জনগণের আস্থা কিছুটা হলে ফিরে পেতে পারে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে হানিফ বলেন, আপনি আপনার স্বামীর গড়া দল বিএনপির অস্তিত্ব রক্ষা করতে চাইলে স্বেচ্ছায় এই দল থেকে বিদায় নিয়ে দলটির অস্তিত্ব রক্ষা করুন। এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরকালে বেগম খালেদা জিয়ার সাক্ষাৎ নিয়ে ভারতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের উদ্বৃতি তুলে ধরেন তিনি। আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের আগে বিএনপি নেতারা বিভিন্ন সভায় বলেছিলেন আমরা ভারতবিরোধী রাজনীতি করি না। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি বিএনপি নেত্রীকে যে তিনটি প্রশ্ন করেছিলেন এর উত্তর তিনি দিতে পারেননি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী সফরকালে বিএনপি বিজেপির আনুকূল্য না পাওয়ায় এমাজউদ্দিন সাহেবরা এখন ভারতবিরোধী কথা বলছেন। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, প্রফেসর ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী, বিশিষ্ট অভিনেতা ড. ইনামুল হক, জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি মো. শফিকুর রহমান প্রমুখ।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়