Saturday, June 6

স্মৃতিসৌধ-বঙ্গবন্ধুর প্রতি মোদির শ্রদ্ধা


ঢাকা: ঢাকায় নেমে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দেওয়ার পর বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রথম সফরে শনিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে বাংলাদেশে পৌঁছান মোদী। হজরত শাহজালাল বিমান বন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। লাল গালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অফ অনার নিয়ে মোটর শোভাযাত্রাসহ রওনা হয়ে সকাল ১১টা ১৭ মিনিটে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পৌঁছান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তাকে অভ্যর্থনা জানান গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী এ কে এম মোজাম্মেল হক, সাভারের সংসদ সদস্য এনামুর রহমান। সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী কবীর আহম্মেদ ভূইয়া, ঢাকার জেলা প্রশাসক তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমানও সেখানে ছিলেন। ১১টা ২৫ মিনিটে নরেন্দ্র মোদী শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। ফুল দিয়ে শহীদ বেদীর সামনে এক মিনিট নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। ফুল দিয়ে স্মৃতি সৌধের পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষরের পর মোদী স্যাপলিং পয়েন্টে (বৃক্ষরোপন এলাকা) একটি ‘উদয় পদ্ম’ গাছের চারা রোপণ করেন। ১১টা ৩৬ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে বেরিয়ে মোদীর গাড়িবহর ঢাকার ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের উদ্দেশে রওনা হয়। বেলা ১২টা ০৫ মিনিটে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে পৌঁছালে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি ট্রাস্টের সদস্য সচিব ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক। ভারতের প্রধানমন্ত্রী সেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল ‍দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এসময় কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। পরে মোদী জাদুঘরের বিভিন্ন কক্ষ ঘুরে দেখেন এবং পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন। বাড়ির যে বেলকনিতে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু বক্তব্য দিতেন সেখানেও কিছুক্ষণ দাঁড়ান ভারতের প্রধানমন্ত্রী, তার পাশে তখন ছিলেন বঙ্গবন্ধুর নাতি রাদওয়ান মুজিব ও তার স্ত্রী পেপ্পি সিদ্দিক। বেলা ১টার দিকে মোদী জাদুঘর থেকে বেরিয়ে সোনারগাঁও হোটেলে যান। দুই দিন ঢাকায় অবস্থানকালে এই হোটেলেই থাকবেন তিনি। বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে শীর্ষ বৈঠকে যোগ দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেখানে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হবে। ঐতিহাসিক সীমান্ত চুক্তি অনুমোদনের দলিলও হস্তান্তর হবে তখন। রাতে হোটেলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশ ভোজে যোগ দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সফরের দ্বিতীয় দিন রবিবার সকালে ঢাকেশ্বরী মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন পরিদর্শন শেষে বারিধারায় ভারতীয় হাই কমিশনের নতুন চ্যান্সেরি ভবনে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বিজেপি নেতা। দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন মোদী। সেখানে রাষ্ট্রপতির দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন তিনি। এরপর হোটেলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া , বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, ব্যবসায়ী নেতাদের সাক্ষাৎ দেবেন মোদী। রাতে ঢাকা ছাড়ার আগে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ভারতীয় হাই কমিশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন মোদী। চা বিক্রেতা থেকে রাজনীতিতে এসে বহু বিতর্কের মধ্যেই বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রির রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসা মোদীর এই বক্তৃতা নিয়ে এরই মধ্যে তরুণদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়