Saturday, June 20

বার্সার সব শিরোপা ফেরত দেবেন মেসি!


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: ঠিক সেঞ্চুরির মুখে দাঁড়িয়ে লিওনেল মেসি। আচমকা রান আউট হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। শনিবার মাঝরাতে জ্যামাইকার বিরুদ্ধে ১০০তম ম্যাচটা তিনি খেলবেনই। এই সেঞ্চুরিতে মেসির যত না আনন্দ, তার থেকেও বেশি হয়তো দুঃখ। ৯৯টা ম্যাচ দেশের জার্সিতে খেলা এবং একটাও ট্রফি না জেতা। বার্সেলোনার জার্সিতে যিনি ট্রফির পর ট্রফি জিতেছেন, তার তো ক্ষোভ জন্মাবেই। মরিয়া মেসি তাই ১০০-এর ম্যাজিক সংখ্যায় পৌঁছনোর আগে বলে দিচ্ছেন, ‘কোপা আমেরিকার ট্রফির জন্য বার্সেলোনার সব ট্রফি ফেরত দিতেও রাজি আছি আমি।’ আলবিসেলেস্তে রংটার প্রতি এতটাই ভালোবাসা! সেই জার্সিকে একটাও ট্রফি না দিতে পারার জ্বালা মেসির গলায়। গ্রুপের শেষ ম্যাচে নামার আগে মেসির বক্তব্য, ‘আশা করব, আরও একটা ম্যাচ জিতব কাল। এই একশো ম্যাচে আমার অভিজ্ঞতা অনেক। দারুণ কিছু সময় কাটিয়েছি। সেগুলো ভোলার নয়। এই সব ঘটনাই আমাকে আরও ভালো খেলার প্রেরণা জুগিয়েছে।’ সঙ্গে এও জুড়ে দিয়েছেন, ‘কিন্তু আমার দুর্ভাগ্য একটাও শিরোপা জিততে পারিনি। আশা করব এই একশো ম্যাচ খেলার পরে একটা পাব।’ আর্জেন্তিনার ‘লা ন্যাসিওন’ পত্রিকায় সাক্ষাৎকারে মেসি বলেছেন, ‘কোপা আমেরিকা জিততে পারলে আমাদের মনের জ্বালা অনেকটা জুড়োবে। শুধু আমার সতীর্থদের জন্য নয়, কোচ এবং আমার জন্যও। দেশের জন্য। দেশের মানুষও তো আমাদের সফল দেখতে চায়।’ আর্জেন্টিনার সিনিয়র টিম দীর্ঘ ২২ বছর কোনও শিরোপা জয়ের স্বাদ পায়নি। ১৯৯৩ সালে আর্জেন্টিনাকে সর্বশেষ কোপা আমেরিকা জিতিয়েছিলেন বাতিস্তুতা -সিমিওনেরা। তারপর হার্নান ক্রেসপো, ওর্তেগা, আইমার, স্যাভিওলাদের মতো তারকারা এসেছেন, তবু ট্রফি পায়নি আর্জেন্টিনা। মেসির স্বপ্নের উত্থানে ফের ট্রফির স্বপ্ন দেখা শুরু আর্জেন্টাইনদের। এলএম টেনের হাতে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ ও অলিম্পিক সোনা উঠেছে। কিন্তু সিনিয়র টিমের হয়ে এখনও কোনও ট্রফি না জেতায় হতাশা আরও বেড়েছে। গত বছর বিশ্বকাপ রানার্সআপ হওয়ায় যেন ক্ষত আরও দগদগে। নিজের টিমের প্রশংসায় আর্জেন্টিনা অধিনায়কেরর মন্তব্য, ‘আমাদের এই দলটা বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছে। আমরা কোপা আমেরিকা জেতার যোগ্য দল। সে রকমই ছবি দেখতে চাই।’ ইতিহাসের এত কাছাকাছি এসেও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না মহাতারকার। প্যারাগুয়েকে ২-০ হারিয়ে বিরতির পরে টানেলে এঞ্জেল ডি মারিয়া এবং মেসি নাকি কোচ জেরার্ডো মার্টিনোর ছক নিয়ে ঠাট্টা করেন। যা ভিডিওতে ধরা পড়ে এবং তোলপাড় সৃষ্টি হয় ফুটবলমহলে। আর্জেন্টিনার এক দৈনিক প্রশ্ন তুলেছে, দলের দুই সিনিয়র কী করে কোচকে নিয়ে ঠাট্টা করতে পারেন? যদিও দলের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। শোনা যাচ্ছিল, শাস্তি হিসেবে হয়তো দুই ফুটবলারকে বসিয়ে রাখা হতে পারে জ্যামাইকা ম্যাচে। তবে মেসিকে বসানোর মতো চরম সিদ্ধান্ত হয়তো নেবেন না মার্টিনো। চার পয়েন্ট নিয়ে শেষ আট প্রায় নিশ্চিত আর্জেন্টিনার। তবে আত্মতুষ্ট নন মার্টিনো। যিনি উরুগুয়ে ম্যাচে ঝামেলা করে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ। ডাগআউটে থাকতে পারবেন না। খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথাও বলতে পারবেন না। ম্যাচের আগের দিন পুরোদমে চলল আর্জেন্টিনার অনুশীলন। ওয়ার্ম আপ, ফুটবলারদের ভাগ করে ম্যাচ খেলানো, সব কিছুই হল। জল্পনা মতে, আর্জেন্তিনার প্রথম দলে হয়তো থাকবেন না ডি মারিয়া। বদলি হয়তো এজেকুয়েল লাভেজ্জি। সেন্টার ফরোয়ার্ডে আগুয়েরোর সঙ্গে মেসি ও পাস্তোরে। শেষ বার কোনও বড় টুর্নামেন্টে দু’দল মুখোমুখি হয়েছিল ১৯৯৮ বিশ্বকাপে। যে ম্যাচে গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার হ্যাটট্রিকে বড় ব্যবধানে জেতে আর্জেন্টিনা। এবার কোপায় প্রথম দুটো ম্যাচই হেরেছে জ্যামাইকা। তবে রবিবার তারা কোনও অঘটন ঘটাতে পারে কি না, প্রশ্ন সেটাই।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়