Thursday, June 4

ধূমপায়ীদের ব্যয় বাড়ছে


ঢাকা: ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেটের ওপর বিদ্যমান কর ‍ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রয় ব্যবসায় নিয়োজিত ব্যক্তি-অংশীদারি প্রতিষ্ঠানের ওপর কর হার বাড়ানোরও প্রস্তাব করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় এ প্রস্তাব করেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, এদেশের সবচেয়ে কম কর দেয় তামাক বা সিগারেট শিল্প। অথচ এ শিল্প জনস্বাস্থ্যের ব্যাপক ক্ষতি করে। সিগারেট প্রস্ততকারী পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানির করহার ৪০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি। একইসঙ্গে সিগারেট প্রস্তুতকারী নন পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানি ৪৫ শতাংশ কর বহাল থাকবে। তিনি বলেন, সিগারেট উৎপাদন ব্যবসা হতে অর্জিত করযোগ্য আয় বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি। সিগারেটের মূল্যস্তর ও সম্পূরক শুল্ক সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন যাবত সিগারেটের ওপর থেকে কর আদায়ের ক্ষেত্রে মূল্যসীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। যা বাজার অর্থনীতিতে কোনোভাবেই কাম্য নয়। এবারই প্রথম সিগারেটের সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বেঁধে দিয়ে তার ওপর একটি সম্পূরক কর ও মূসক আরোপ করছি। একইসঙ্গে এ সর্বনিম্ন মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যের সিগারেটের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক ও মূসক আরোপের প্রস্তাব করা হলো। অর্থমন্ত্রী জানান, সিগারেটের বিদ্যমান মূল্যস্তর (১০ শলাকার জন্য) ১৫-১৬.৫০ টাকা মূল্যের সিগারেটে বিদ্যমান করহার ৪৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ন্যূনতম ১৯ টাকা ও এর ওপর ৪৮ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক। ৩২.৫০-৩৫ টাকা মূল্যের সিগারেটে বিদ্যমান করহার ৬০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ন্যূনতম ২০-৩৯ টাকা ও ৬০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করা হলো। ৫০-৫৪ টাকা মূল্যের সিগারেটে বিদ্যমান করহার ৬২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে মধ্যমান ৪০-৬৯ টাকা পর্যন্ত ও সম্পূরক শুল্ক ৬১ শতাংশ করা। ৯০ ও তদূর্ধ্ব মূল্যের সিগারেটে বিদ্যমান করহার ৬১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে উচ্চমান ৭০ টাকা ও তদূর্ধ্ব এবং ৬৩ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করছি। বিড়ির শুল্ক সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিড়ি দেশীয় শিল্প হলেও বিগত কয়েকবছর বিড়ির ওপর তেমন কোনো শুল্ক বাড়ানো হয়নি। ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকার করসহ ৬.১৪ টাকার বিড়ি মূল্য ৭.০৬ টাকা ও ২০ ফিল্ডারযুক্ত ২০ শলাকার করসহ ৬.৯২ টাকার বিড়ির মূল্য ৭.৯৮ টাকা করার প্রস্তাব করছি। অর্থমন্ত্রী বলেন, সিগারেট পেপারের স্থানীয় উৎপাদনের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বিদ্যমান থাকলেও বিড়ির ক্ষেত্রে এইচএস কোড জটিলতায় বিড়ির ক্ষেত্রে শুল্ক ফাঁকি হচ্ছে। এ বৈষম্য দূর ও কর ফাঁকি রোধে বিড়ি পেপারের ওপর ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরাপ করার প্রস্তাব করছি।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়