Saturday, June 6

গণতন্ত্র ফেরাতে মোদির ভূমিকা চায় বিএনপি


ঢাকা: রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে সফর করায় তাকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। একইসঙ্গে মোদি সরকার বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে বলেও আশা করেছে দলটি। যুবদল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে দলটির নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ বলেছেন, “ভারত একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ। মোদি গণতন্ত্রের জনক। আশা করি গণতান্ত্রিক স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে বাংলাদেশে যাতে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় সেজন্য শিষ্ঠাচারের মধ্যে যতটুকু পরে ততটুকু তিনি (মোদি) করবেন।” শনিবার দুপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে সংগঠনটি। এতে সভাপতিত্ব করেন যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। হান্নান শাহ বলেন, “ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে এসেছেন আমরা তাকে স্বাগত জানাই। তিনি তৃণমূল থেকে গণতান্ত্রিকভাবে উঠে এসে আজকে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। আর ভারত একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ। দেশটির সংবিধানে একটি অনুচ্ছেদে বলা আছে, ভারত তাদের স্বার্থে বিশ্বের যেকোনো দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় কাজ করবে। কিন্তু গত ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে তখনকার সরকার বাংলাদেশের এমন একটি দলকে সমর্থন দিয়েছে যাদের ১৫৪ জন সংসদ সদস্য প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত।” বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য শিষ্ঠাচারের মধ্যে যতটুকু পরে নরেন্দ্র মোদি ততটুকু করবে বলে আশা প্রকাশ করেন হান্নান শাহ। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের স্থলসীমান্ত চুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সীমান্ত চুক্তি এখনও হয়নি। ভারত তাদের সীমানা পুনর্গঠন করে তাদের সংসদে একটি বিল পাস করেছে। এটা এখনও ভারতের বিষয়। এরমধ্যে আসাম বাদ আছে। সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন হলে বোঝা যাবে ভারত কতটুকু পেয়েছে আর বাংলাদেশ কতটুকু পেল।” ভারতের সঙ্গে ট্রানজিটে বিএনপির কোনো আপত্তি নেই এমনটা জানিয়ে হান্নান শাহ বলেন, “ভারতকে সীমিতভাবে ট্রানজিট দিয়ে বলা হয়েছিল বাংলাদেশ প্রচুর পরিমাণে ট্যাক্স পাবে। বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর হয়ে যাবে। কিন্তু একটা টাকাও পাওয়া যায়নি।” তিনি আরো বলেন, “ট্রানজিট শব্দে বাংলাদেশের আপত্তি দেখে ভারত একে কানেন্টিভিটি নাম দিয়েছে। কিন্তু আমাদের দাবি, আমার দেশের মাটি, রাস্তা ব্যবহার করলে আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি অনুযায়ী ট্যাক্স দিতে হবে।” বিএনপিকে জিয়ার আদর্শ ধারণ করতে অন্য কারো পরামর্শের দরকার নেই বলে দাবি করেন দলটির এই শীর্ষ নেতা। এতে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদসহ যুবদলের কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতারা।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়