Saturday, June 13

গণধর্ষণ: পুলিশের মামলা নেয়নি পুলিশ!


ঢাকা: রাজধানীর খিলগাঁও থানার তিলপাপাড়া এলাকায় সাবেক স্বামী ও তার বন্ধুদের দ্বারা গণধর্ষণের শিকার নারী পুলিশ কনস্টেবলের মামলা নেয়নি খিলগাঁও থানার পুলিশ। ভিকটিমের অভিযোগ, খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান তাকে মীমাংসার প্রস্তাব দিয়ে মামলা নেননি। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন খিলগাঁও থানার ওসি। ওই নারী পুলিশ সদস্যের ভাই শনিবার বিকালে জানান, ২০১১ সালে তার বোনের বিয়ে হয় খিলগাঁও থানায় কর্মরত ওই সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) কলিমুর রহমানের সঙ্গে। বর্তমানে তিনি উত্তরায় স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রটোকল ব্যাটেলিয়ানে (এসপিবিএন) কর্মরত। ২০১৪ সালে তাঁদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তাঁদের ঘরে একটি মেয়ে সন্তানও রয়েছে। তার নাম মাইশা রহমান (৩)। ভিকটিমের ভাই জানান, গত বুধবার বিকাল চারটার সময় ওই এএসআই কলিম ফোন করে তাঁর বোনকে সব ঝামেলা মিটিয়ে নতুন করে সংসার করার কথা বলেন। পরে তাঁর বোন কথামতো সেদিনই বাসায় গেলে এএসআই এবং তাঁর কয়েকজন সহযোগী মিলে বোনকে ধর্ষণ করেন। এর পরদিন (বৃহস্পতিবার) সকালে এ ঘটনায় খিলগাঁও থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। গতকাল শুক্রবার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে ভর্তি হলে ধর্ষণের আলামত পরীক্ষার জন্য তাঁকে শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তার বোন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ারস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জানতে চাইলে এ অভিযোগ অস্বীকার করে খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া ঢাকাটাইমসকে বলেন, এমন অভিযোগ শুনে আমি আশ্চর্য হয়েছি। সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি নারী নির্যাতনের ঘটনার পর আমরা এসব ব্যাপারে অনেক সতর্ক। এই পরিপ্রেক্ষিতে আমার পরিবারের কেউ নির্যাতনের শিকার হয়ে থানায় মামলা করতে এলে আমি সেই মামলা নেব না, এটা হতে পারে না। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করে মামলা দায়ের করা হবে। যারা দোষী তাদের গ্রেপ্তার করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়