নিজস্ব প্রতিবেদক:
কৃষি প্রণোদনার আওতায় সরকারী ভাবে বিনামূল্যে প্রান্তিক চাষীদের মাঝে বিতরণকৃত ইউরিয়া ও মিশ্র সার এবং আউশ ধানের বীজ গত সোমবার কানাইঘাট বাজারে কালো বাজারে বিক্রির চেষ্টাকালে জনতার হাতে ১৪ বস্তা সার ও ১০ বস্তা আউশ ধানের বীজ আটকের ঘটনাটি তদন্ত হয়েছে। গত মঙ্গলবার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেটে বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক সাদির উদ্দীন ও উপ পরিচালক সিলেট অফিসের খায়রুল বাশার, অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়ের উপ পরিচালক ড. মামুনুর রশিদের উপস্থিতিতে কানাইঘাট উপজেলা কৃষি অফিসে তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়। তদন্তকালে কৃষি অফিসের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে উল্লেখিত সার ও বীজ কালো বাজারে বিক্রির চেষ্টার সাথে কৃষি অফিসের কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি বলে তদন্ত কমিটির প্রধান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক সাদির উদ্দিন কানাইঘাট নিউজকে জানিয়েছেন। সার ও বীজ কালো বাজারে বিক্রির চেষ্টার সাথে রাজাগঞ্জ ইউপির কার্ডধারী ২০জন কৃষক জড়িত রয়েছেন মর্মে তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের নাম কৃষক তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়। এবং নতুন করে উক্ত সার ও বীজ আরো ২০ জন কৃষকের তালিকা তৈরী করে তাদের মাঝে বিতরণের সিন্ধান্ত গৃহিত হয়। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কৃষি প্রণোদনার আওতায় সরকারী ভাবে বিনামূল্যে কানাইঘাট উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও পৌর সভার কৃষি কার্ডধারী ৬৫০ জন কৃষকদের মাঝে জনপ্রতি ২০ কেজি ইউরিয়া সার, ১০ কেজি ডিএপি সার, ১০কেজি এমওপি সার ও ৫কেজি করে আউশ বীজ এবং ৪০জন কৃষককে উল্লেখিত হারে সার ও ১০কেজি নেরিকা ধানের বীজ বিতরণ করা হয়েছে।
খবর বিভাগঃ
প্রতিদিনের কানাইঘাট
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়