Tuesday, May 5

প্রকাশ্যে প্রস্রাব ঠেকাতে আরবি ভাষা


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: প্রকাশ্য স্থানে মূত্রত্যাগ ঠেকাতে রাজধানী ঢাকার দেয়ালে আরবি ভাষা ব্যবহারের এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে ধর্মমন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশন। এ লক্ষ্যে ঢাকার বিভিন্ন দেয়ালে আজকাল আরবি ভাষায় 'যেখানে সেখানে প্রস্রাব না করার' বার্তা লিখে দেয়া হচ্ছে। ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমানের এক বার্তা সম্বলিত একটি ভিডিও ইউটিউব এবং ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইটে ব্যাপক প্রচার পাচ্ছে। এতে মন্ত্রী বলছেন, দেখা যাচ্ছে ঢাকা শহরের মসজিদগুলোতে প্রস্রাবের জায়গা থাকলেও অনেকে বাইরে প্রস্রাব করছে। 'এখানে প্রস্রাব করিবেন না' লেখা দেয়ালেও লোকে প্রস্রাব করছে। ভিডিওটিতে বলা হচ্ছে, ৯০ শতাংশ মুসলিম-অধ্যুষিত বাংলাদেশে আরবি একটি পবিত্র ভাষায় হিসেবে বিবেচিত, যদিও খুব কম লোকই এ ভাষা জানেন বা বোঝেন। তাই প্রকাশ্যে প্রস্রাব না করার বার্তাটি তারা রাস্তার পাশের দেয়ালগুলোতে আরবি ভাষাতে দেয়া লিখে দিচ্ছেন। প্রকাশ্যে প্রস্রাব ঠেকাতে আরবি ভাষা কোথাও কোথাও আবার দিকনির্দেশক চিহ্নসহ আরবির পাশাপাশি বাংলাতেও লেখা হচ্ছে : '১০০ হাত দূরে মসজিদ' অর্থাৎ বলে দেয়া হচ্ছে যে সেখানে গেলে প্রস্রাবের জায়গা পাওয়া যাবে। এতে আরো বলা হয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এই অভিনব উদ্যোগ ইতিমধ্যেই দারুণ কার্যকর হয়েছে। ধর্মমন্ত্রণালয়ের সচিব ড. চৌধুরী মোহাম্মদ বাবুল হাসান বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আরবি ভাষা পবিত্র কোরানের ভাষা, তাই সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মনে আরবি ভাষার ব্যাপারে একটা সম্মান ও ভীতির অনুভূতি কাজ করে, তাই দেয়ালে আরবি লেখা দেখলে সেখানে লোকের প্রস্রাব করবে না - এই ভাবনা থেকেই এ উদ্যোগ। কিছুকাল আগে ধর্মমন্ত্রী সিটি করপোরেশনকে একটি চিঠি দিয়ে তার এই ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন। সিটি করপোরেশনই এ দেয়াল লিখনের কাজটা করছে, বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, এ উদ্যোগের ফলে ইতিমধ্যেই শহরে একটা পরিচ্ছন্ন ভাব এসেছে। ঢাকার মতো জনবহুল শহরে পর্যাপ্ত টয়লেটের ব্যবস্থা না করে মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহার করে এ উদ্যোগ কতটা যথাযথ- এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করে বলেন "কোন মুসলমানই এমনটা মনে করবে না, বরং একটা ভালো কাজ হিসেবে একে সমর্থন করবে।" ড. হাসান বলেন, সিটি করপোরেশন এ ছাড়াও নিজ উদ্যোগে ঢাকা শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখার কাজ করছে। সূত্র: বিবিসি

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়