নিজস্ব প্রতিবেদক:
কানাইঘাট ভাড়ারীমাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওদুদ মোছাঃ আমিরুন নেছার স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়মের তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে এ তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেটের জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু ইউসুফ খাঁনের উপস্থিতিতে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির নেতৃবৃন্দ, অভিভাবকদের বক্তব্য শোনার পাশাপাশি অভিযুক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওদুদ ও সহকারী শিক্ষিকা আমিরুন নেছার জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
অভিযোগে জানা যায়, ভাড়ারিমাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওদুদ দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে কর্মরত থাকায় অভিভাবক ও শিক্ষক ও স্থানীয় লোকজনদের মাঝে গ্রুপিং সৃষ্টি করে নানা বিতর্কের জন্ম দেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ থাকলেও বহাল তবিয়তে থাকা অবস্থায় স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা আমিরুন নেছার সাথে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। গত ১লা এপ্রিল শিক্ষিকা আমিরুন নেছা ৩য় শ্রেণির এক ছাত্রকে বেত্রাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করলে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সহ সভাপতি হাজী ফরিদ আহমদ ঐ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ দাখিল করেন। এ নিয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দিলীপ কুমার শাহা স্কুলে তদন্ত করতে গেলে প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওদুদ ও শিক্ষিকা আমিরুন নেছার সমর্থকদের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনা এবং নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার সাথে জড়িত থাকার দায়ে সম্প্রতি প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওদুদকে উপজেলার হারাতৈল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সহকারী শিক্ষিকা আমিরুন নেছাকে সীমান্তবর্তী দনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলীর আদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু তারা নতুন কর্মস্থলে যোগদান না করে নানা ছলছাতুরীর আশ্রয় নিলে স্কুলের অভিভাবক বৃন্দ ও এলাকাবাসীর মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। অনুষ্ঠিত তদন্তের সময় ম্যানেজিং কমিটির নেতৃবৃন্দ ও এলাকাবাসী স্কুলের শিক্ষার সার্বিক সুষ্টু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে এবং এলাকায় দলাদলি, হানাহানি বন্ধে প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওদুদ ও সহকারী শিক্ষিকা আমিরুন নেছাকে অন্যত্র বদলীর জন্য জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু ইউসুফ খানের প্রতি আহ্বান জানান। তদন্তকালে স্থানীয় সাংবাদিকরাও উপস্থিত ছিলেন।
খবর বিভাগঃ
প্রতিদিনের কানাইঘাট
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়