Saturday, May 9

“চুপ” কেন ব্যারিস্টার রফিকুল?


ঢাকা: গত পাঁচ জানুয়ারির আগে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বেশ সরব ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া। বছরের শুরুতে টানা কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকেই রাজনীতির মাঠ থেকে নিজেকে আড়াল করতে থাকেন। আন্দোলনের মাঝামাঝি থেকেই নিরুদ্দেশ হয়ে যান বিএনপির এই সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সদস্য। সিটি নির্বাচনে দলের স্থায়ী কমিটির বেশ কয়েকজন নেতাকে মাঠে দেখা গেলেও রফিকুল ইসলাম ছিলেন অনুপস্থিত। বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারের কঠোর সমালোচক রফিকুল ইসলাম মিয়া হঠাৎ কেন রাজনীতির অন্তরালে চলে গেলেন এই প্রশ্ন রাজনীতির সচেতন মহলের। আন্দোলনের সময় নেতাকর্মীদের ভূমিকা নিয়েও ব্যাপক ক্ষোভ ছিল তার। তবে রফিকুল ইসলামের ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, হরতাল-অবরোধে তার নামে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। মামলার পর থেকেই তিনি নিশ্চুপ হয়ে যান। অনেকটা নিরবেই বাসায় সময় কাটাচ্ছেন তিনি। মাঝখানে বেশ কিছুদিন কোর্টেও যাননি। তবে এখন আবার কোর্টে নিয়মিত যাচ্ছেন। তবে রাজনীতি নিয়ে কোনো কথা বলছেন না। পাঁচ জানুয়ারির আগে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে সরকারের কঠোর সমালোচনা করতেন রফিকুল ইসলাম। তিনি আন্দোলন নিয়ে নিজ দলের নেতাকর্মীদের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করে প্রায়ই বলতেন, ‘এসি রুমে বসে আন্দোলন হবে না। এ সরকারের বিরুদ্ধে দুর্বার গণআন্দোলন করতে হলে এসি রুমের বাইরে এসে রাজপথেই মোকাবেলা করতে হবে।’ কিন্তু এখন সেই রফিকুল ইসলাম মিয়াই এসি রুমের বাসিন্দা হয়ে গেলেন বলে বিএনপির এক কর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন। সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা বলতে রফিকুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তার ব্যক্তিগত মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে। ---ঢাকাটাইমস

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়