ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান সেনাবাহিনীকে উস্কানি দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটি মিলনায়তনে শুক্রবার সকালে স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
কামরুল বলেন, বিএনপি নতুন করে সঙ্কট তৈরি করতে চাচ্ছে। সেনাবাহিনীকে উস্কানী দিচ্ছে। এজন্য বিএনপি নেতা লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা উচিত।
আইনশৃঙ্খলা ও গণতন্ত্র রক্ষায় সেনাবাহিনী নামানো উচিত-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমানের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেন তিনি।
কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি জানে নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি হবে। মানুষ ৯২ দিনের নাশকতা ভুলে যায়নি। গণতান্ত্রিক ধারাকে সন্ত্রাসের পথে নিয়ে যাওয়া। গণতন্ত্র ধ্বংস করার চেষ্টার জবাব ব্যালটের মাধ্যমে দিতে মানুষ প্রস্তুত।
তিনি বলেন, বিএনপি ভাঙা ক্যাসেট বাজাচ্ছে। নির্বাচন বানচাল করতে চাচ্ছে। অথবা নির্বাচন পরবর্তী সময়ে আবার সেই বোমাবাজী নাশকতায় ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্র তৈরি করছে। এরা বিষধর সাপ। ব্যালটের মাধ্যমে এদের জবাব দিতে হবে।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরের হামলার ঘটনাকে নাটক বলে উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা কর্মীরা যে সকল ঘটনা ঘটিয়েছে এর বাইরে এ সকল ঘটনার কোন প্রতিফলন নেই। নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। লাশের গন্ধ যে মহিলার গায়ে, উনি নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছেন। এই বিষফোঁড়া বিদায় করতে হবে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, উনি (খালেদা জিয়া) নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করছেন। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করছেন। নির্বাচন কমিশনের উচিত উনাকে বিরত রাখা।
অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম খানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সামসুল হক টুকু, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজিত রায় নন্দী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোল্লা মো. আবু কাওসার প্রমুখ।
খবর বিভাগঃ
রাজনীতি
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়