Wednesday, April 15

গভীর রাতে মনজুরের বাসায় সোলায়মান শেঠ


ইব্রাহিম খলিল: সোমবার গভীর রাতে সবার অগোচরে চট্টগ্রামে বিএনপি সমর্থিত উন্নয়ন আন্দোলনের প্রার্থী এম মনজুর আলমের বাসায় যান জাপা সমর্থিত নাগরিক পরিষদের প্রার্থী সোলায়মান আলম শেঠ। যা অন্য চোখে দেখছে চট্টগ্রামের রাজনৈতিক বোদ্ধারা। নগর আওয়ামী লীগ সমর্থিত নাগরিক কমিটির প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ইছহাক মিয়া এটিকে গভীর রাতের ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে বলেন, এতে আ জ ম নাছির উদ্দিনের জয়কে কেউ ঠেকাতে পারবে না। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু আওয়ামী লীগ সমর্থিত নাগরিক কমিটির প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিনের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেয়ার একদিন পর জাপা সমর্থিত নাগরিক পরিষদের প্রার্থী সোলায়মান আলম শেঠ সবার অগোচরে গভীর রাতে এম মনজুর আলমের বাসায় যান। অনুমান করা হচ্ছে মনজুর আলমের সাথে সোলায়মান শেঠের সমঝোতার চেষ্টা চলছে। এ ক্ষেত্রে দুতিয়ালির কাজটি করছেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম। বৈঠকে ওইদিন মনজুর আলমের বাসায় তিনি ছিলেন। সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম ও মনজুর আলম বৈঠক শেষে সরকার দলীয় প্রার্থীকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত করতে কাজ করছে বলে সিইসির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বিবৃতি দেন। তারা বলেন, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে সেনাবাহিনী মোতায়েন জরুরি। কারণ নির্বাচন কমিশন নিজস্বতা হারিয়ে ফেলেছে। তাদের কোনো স্বাধীনতা নেই। সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা বলেন, নির্বাচন কমিশনের সরেজমিন নীতি বাংলাদেশের গণমানুষের আকাঙ্ক্ষাবিরোধী। বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ কমিশন থেকে যা প্রত্যাশা করে কমিশন ঠিক তার উল্টো করছে। তিনি নির্বাচন কমিশনের দ্বৈত নীতির কঠোর সমালোচনা করে বলেন, এ ধরনের নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করা যায় না। সৈয়দ ইব্রাহিম আরো বলেন, সরকারের দুঃশাসনের জবাব দিতে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২০ দলীয় জোট অংশগ্রহণ করেছে। তাই এই নির্বাচনে জিততেই হবে। এ বিজয়ের মাধ্যমে সরকার পতনের আন্দোলন ত্বরান্বিত করবে। চট্টগ্রামের কয়েকটি গণমাধ্যমে সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম ও এম মনজুর আলমের এই বিবৃতি প্রকাশ করা হলেও সোলায়মান আলম শেঠের বিষয়টি প্রকাশ পায়নি। তবে এ ব্যাপারে দিনভর চেষ্টার পর মঙ্গলবার রাত ১১টায় মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে জাপা সমর্থিত নাগরিক পরিষদের প্রার্থী সোলায়মান আলম শেঠ ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মনজুর আলমের ছোটভাই শিল্পপতি আবুল কাসেম অসুস্থ হওয়ায় আমি তার খোঁজখবর নিতে গিয়েছিলাম। দিনভর প্রচারণায় থাকায় রাত ১১টার দিকে মনজুর আলমের বাসায় যাই। সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম আমি যাওয়ার আগেই বাসায় ছিলেন। প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বৈঠকে ছিলাম তা নয়, তাদের সাথে কিছুক্ষণ বসেছিলাম। এতে কী আলাপ হয়েছে জানতে চাইলে অন্য প্রসঙ্গ তুলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে আলাপের মূল বিষয় হচ্ছে নির্বাচন পরিস্থিতি। নির্বাচনী কলাকৌশলের অনেক কিছুই আলাপ হতেই পারে। যার সবকিছু বলা সম্ভব নয়। তবে চসিক নির্বাচনে চমকপ্রদ কিছু ঘটতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি। আর গভীর রাতে মনজুর আলমের বাসায় সোলায়মান আলম শেঠের যাওয়াটাই একটি চমকপ্রদ ঘটনা উল্লেখ করে ইছহাক মিয়া বলেন, তিনি এমন একজন প্রার্থী যিনি নিজ দলের সমর্থন পেলেও কাছে পাননি কাউকে। দলের মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু নাগরিক কমিটির প্রার্থী আ জ ম নাছিরের পক্ষে প্রচারণায় নামায় ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি এ কাজ করেছেন। ইছাহাক মিয়া বলেন, সোলায়মান শেঠ তো আর মেয়র হবেন না। তাই জলঘোলা করে কিছু ফায়দা লুটের চেস্টা করছেন। এতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নাগরিক কমিটির প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিনের জয়-পরাজয়ে কোনো প্রভাব পড়বে না। ----ঢাকাটাইমস

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়