ঢাকা: আসন্ন সিটি নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের নষ্ট হয়ে যাওয়া ভাবমূর্তি ফিরে পাওয়ার বিরাট সুযোগ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক সেনা প্রধান মাহাবুবুর রহমান।
তিনি বলেছেন, ‘জনগণ জেগে উঠেছে। জনগণ ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি তাই তারা সিটি নির্বাচনে প্রতিশোধ নিতে চায়। কিন্তু সরকার সেটা বুঝতে পেরে ৫ জানুয়ারির অবস্থা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। আর এমন অবস্থায় নির্বাচন কমিশনারদেরকেও বুঝতে হবে এটা তাদের নষ্ট হয়ে যাওয়া ভাবমূর্তি ফিরে পাওয়ার বিরাট সুযোগ।’
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল আয়োজিত ‘খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার এবং মির্জা ফখরুলসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তির দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
এদিকে গত মঙ্গলবার তিন সিটি নির্বাচন উপলক্ষে ২৬-২৯ এপিল পর্যন্ত সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ জন্য কমিশন তিন ব্যাটিলিয়ন সেনা সদস্য চেয়ে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে চিঠিও দেয়।
মঙ্গলবার পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ‘প্রতিটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন এলাকায় এক ব্যাটিলিয়ন সেনা সদস্য ২৬-২৯ এপ্রিল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে। তারা মুলত স্টাইকিং ফোর্স ও রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। রিটার্নিং অফিসারের ডাকে পরিস্থিতি মোকাবেলা করবে।’
পরে বুধবার সেনা মোতায়েন নিয়ে আগের দিনের চিঠি পাল্টে নতুন একটি চিঠি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে পাঠায় কমিশন। যেখানে দ্বিতীয় চিঠিটি আগের চিঠির স্থলাভিষিক্ত হবে বলে জানায় ইসি।
নতুন চিঠিতে বলা হয়, ‘তারা (সেনাবাহিনী) মূলত সেনানিবাসের অভ্যন্তরে রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে অবস্থান করবে এবং রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুরোধে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে তারা পরিস্থিতি মোকাবেলা করবে।’
এরই পরিপ্রেক্ষিতে মানববন্ধনে মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘সিটি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন নিয়ে অনেক ষড়ষন্ত্র চলছে। জনগণ নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে টহলরত অবস্থায় দেখতে চায়, আই ওয়াশের (লোক দেখানো) সেনা মোতায়েন দেখতে চায় না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি ছিল সেনা মোতায়েন করতে হবে। প্রতিটি বড় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হয়। কারণ সেনাবাহিনী জনগণেরই অংশ।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশে আজকে যে সঙ্কট সেটি গণতন্ত্রের সঙ্কট, নিরাপত্তার সঙ্কট, আইনশৃঙ্খলার সঙ্কট। সেই সঙ্কটে সেনাবাহিনী এগিয়ে এসে, দৃশ্যমান থেকে সবার আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে।’
‘বিএনপি চেয়ারপারস খালেদা জিয়াকে হত্যার লক্ষ্যে গুলি করা হচ্ছে’ এমন মন্তব্য করে মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘খালেদা জিয়া যেখানেই প্রচারণায় বের হচ্ছেন তার ওপর অতর্কিত হামলা করা হচ্ছে। এমনকি তাকে মেরে ফেলার জন্য গুলি করা হচ্ছে। জনগণ জানে এই ঘটনাগুলো কারা ঘটাচ্ছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনার জানার পরও এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। আসলে সব কিছুর জন্য দায়ী এই কমিশনই।’
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়াপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার হায়দার আলী, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, কৃষক দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাজাহান মিয়া সম্রাট প্রমুখ।
খবর বিভাগঃ
রাজনীতি
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়