ঢাকা: আগামী ১৬ মে দিবাগত রাতে পবিত্র শবে মেরাজ পালিত হবে।
রবিবার সন্ধ্যায় রজব মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়াতে জামাদিউস সানি মাস ৩০ দিনে হচ্ছে। সে হিসাবে মঙ্গলবার থেকে ১৪৩৬ হিজরির রজব মাস গণনা শুরু হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে রবিবার সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় ১৬ মে শবে মেরাজ পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় প্রধান তথ্য অফিসার তছির আহাম্মদ, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. শাহ আলম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, তথ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও স্পারসো, ঢাকা জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
মুসলমানদের ধর্ম বিশ্বাস অনুযায়ী, ২৬ রজব দিবাগত রাতে ঊর্ধ্বকাকাশে ভ্রমণ করে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) আল্লাহ তায়ালার সাক্ষাৎ লাভ করেছিলেন। ২৬ রজব হবে আগামী ১৬ মে।
প্রসঙ্গত, ৬২০ খ্রিস্টাব্দে ২৬ রজব দিবাগত রাতে মহানবী (সা.) আল্লাহর সান্নিধ্যে মেরাজ গমন করেন। এ সময় হজরত আদম (আ.) ও উল্লেখযোগ্য নবীগণের সঙ্গে নবীজীর সালাম ও কুশলাদি বিনিময় হয়। তারপর তিনি সিদরাতুল মুনতাহায় উপনীত হন। এ পর্যন্ত হজরত জিবরাইল (আ.) তার সফরসঙ্গী ছিলেন। সেখান থেকে তিনি একা রফরফ নামক বিশেষ বাহনে ৭০ হাজার নূরের পর্দা পেরিয়ে আরশে আজিমে মহান আল্লাহতায়ালার সান্নিধ্য লাভ করেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তন করেন। একই সময়ে মহানবী (সা.) সৃষ্টি জগতের সবকিছুর রহস্য অবলোকন করেন।
আরবি ভাষায় মেরাজ অর্থ হচ্ছে সিঁড়ি। আর ফার্সি ভাষায় এর অর্থ হচ্ছে ঊর্ধ্ব জগতে আরোহণ বা গমন। মেরাজ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনের সূরা বনি ইসরাইলের এক নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে- তিনি পরম পবিত্র ও মহিমাময়, যিনি রাত্রিযোগে স্বীয় বান্দাকে মসজিদুল হারাম (সম্মানিত মসজিদ) থেকে মসজিদুল আকসা (দূরবর্তী মসজিদ) পর্যন্ত নিয়ে গেলেন। যার চারদিকে আমি বরকতমণ্ডিত করেছি। যেন আমি আমার কিছু নিদর্শন দেখাই। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা। এ আয়াত সম্পর্কে হাদিস শরিফে বলা হয়েছে- রাসুলুল্লাহ (সা.) বোরাকযোগে মসজিদুল হারাম থেকে জেরুজালেমের মসজিদুল আকসায় সশরীরে ভ্রমণ করে সেখান থেকে ঊর্ধ্বলোকে পরিভ্রমণের মাধ্যমে আল্লাহতায়ালার সান্নিধ্য লাভ ও তার সঙ্গে বাক্যালাপ করেন। এটি নবীজীর একটি আধ্যাত্মিক সফর। পবিত্র শবে মেরাজ উপলক্ষে বিশ্বের মুসলমানরা নফল নামাজ, জিকির আসগার, কোরআন তেলাওয়াত, দুরুদ পাঠ, বিশেষ মোনাজাত ও শিরনি বিতরণের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করেন। বিশেষ করে পাক ভারত উপমহাদেশের মুসলমানরা পবিত্র শবে মেরাজ পালনের জন্য সারা রাত মসজিদে মসজিদে ইবাদত বন্দেগি করে কাটান।
খবর বিভাগঃ
ইসলাম
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়