নিউজ ডেস্ক:
মোহাম্মদ হাফিজের দ্বি-শতকে রানের পাহাড় গড়েছে মিসবাহ বাহিনী। খুলনা টেস্টে বাংলাদেশি বোলাররা এদিনও ব্যর্থ হয়।
বৃহস্পতিবার খেলা শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৫৩৭ রান। আসাদ শফিক ও সরফরাজ আহমেদ দুজনেই ৫১ রানে উইকেটে আছেন। অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেটে ৬৯ রানের জুটি গড়েছেন তারা।
প্রথম ইনিংসে ৩৩২ রানে অলআউট হওয়া বাংলাদেশের চেয়ে এখন ২০৫ রানে এগিয়ে আছে অতিথিরা।
দ্বিতীয় দিন আটজন বোলার ব্যবহার করেও হাফিজ-আজহার জুটি ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশ। উইকেটের সন্ধানে তৃতীয় দিনের প্রথম ওভার থেকেই স্পিন আক্রমণ শুরু করে স্বাগতিকরা। প্রথম ওভারে সাকিব আল হাসান বল করে দেন ৪ রান। তৃতীয় দিনের ১৪তম ও ইনিংসের ৭২তম ওভারে বাংলাদেশকে সফলতা এনে দেন শুভাগত হোম। আজহার আলিকে বোল্ড করে ৬০ ওভার স্থায়ী জুটি ভাঙেন তিনি। ১৭৭ বলে ৪ চার ও এক ছক্কায় ৮৩ রান করেন আজহার। হাফিজ-আজহার জুটিতে আসে ২২৭ রান।
বুধবার দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৩৩২ রানে অলআউট হয়ে যায়। জবাবে দিন শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ২২৭ রান। মোহাম্মদ হাফিজ শতক করে ১৩৭ ও আহজার আলী অর্ধ-শতক করে ৬৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেন এই দুজন।
সকালে উইকেটের সাথে মানিয়ে নিতে বেশি সময় নেননি হাফিজ ও আজহার আলি। দ্বিতীয় উইকেটে আরও ৫০ রান যোগ করে বিচ্ছিন্ন হন এই দুই জন।
আজহারকে বোল্ড করে তার সাথে হাফিজের ২২৭ রানের জুটি ভাঙেন শুভাগত হোম চৌধুরী। আগের দিন ১১ ও ২৮ রানে দুবার জীবন পাওয়া আজহার ফেরেন ৮৩ রান করে।
তৃতীয় উইকেটে ইউনুস খানের সঙ্গে ৬২ রানের আরেকটি জুটি উপহার দেন হাফিজ। প্রথম সেশনে ভালো বল করতে পারেননি স্বাগতিক বোলাররা। তাদের সহজেই খেলে এই সেশনে ১০৬ রান সংগ্রহ করে হাফিজ-আজহার-ইউনুসরা।
৮৪তম ওভারে দ্বিতীয় নতুন বল নেওয়ার পর হাফিজ-ইউনুসকে কিছুটা চাপে ফেলেন দুই পেসার রুবেল হোসেন ও মোহাম্মদ শহীদ। ভালো বল করলেও সাফল্য পাননি এই দুই জন।
হাফিজ-মিসবাহর বিপজ্জনক হয়ে উঠা জুটি ভাঙেন তাইজুল ইসলাম। তার চমৎকার এক বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান অভিজ্ঞ ইউনুস।
দ্বিশতকে পৌঁছানোর পথে অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হকের সাথে অর্ধশত রানের আরেকটি জুটি গড়েন হাফিজ। তার বিদায়ে ভাঙে ৬৩ রানের আরেকটি ভালো জুটি।
শুভাগতর লেগ স্টাম্পের বাইরের বল সুইপ করতে গিয়ে লেগ স্লিপে মাহমুদউল্লাহর ক্যাচে পরিণত হন হাফিজ। ৩৩২ বলে খেলা তার ২২৪ রানের ইনিংসটি ২৩টি চার ও ৩টি ছক্কায় সাজানো।
ইউনুস ও হাফিজকে হারিয়ে দ্বিতীয় সেশনে ৮৮ রান যোগ করে পাকিস্তান।
হাফিজ ফিরে গেলেও স্বাগতিক বোলারদের চেপে বসতে দেননি মিসবাহ ও শফিক। ৬৬ রানের জুটি গড়ে স্বাগতিকদের হতাশা আরও বাড়ান তারা।
অর্ধশতকে পৌঁছানো মিসবাহকে তাইজুল বিদায় করলেও স্বস্তি মেলেনি। অতিথিদের সপ্তম উইকেট জুটি দ্রুত রান তোলার দিকে মনোযোগ দেয়। শফিক দেখেশুনে খেললেও আক্রমণাত্মক মেজাজেই ব্যাট করেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান সরফরাজ। দাপুটে ব্যাটিংয়ে শেষ সেশনে কেবল মিসবাহর উইকেট হারিয়ে ১১৬ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান।
ডানহাতের অনামিকায় চোট পাওয়া বাংলাদেশের অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক তৃতীয় দিন মাঠে নামেননি।
মুশফিকের অনুপস্থিতিতে মাঠে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন সহ-অধিনায়ক তামিম ইকবাল। আর ‘কিপিং’ করেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ১২০ ওভারে ৩৩২ (তামিম ২৫, ইমরুল ৫১, মুমিনুল ৮০, মাহমুদউল্লাহ ৪৯, সাকিব ২৫, মুশফিক ৩২, সৌম্য ৩৩, শুভাগত ১২*, তাইজুল ১, শহীদ ১০, রুবেল ২; ওয়াহাব ৩/৫৫, ইয়াসির ৩/৮৬, হাফিজ ২/৪৭, বাবর ২/৯৯)
পাকিস্তান প্রথম ইনিংস: ১৪৮ ওভারে ৫৩৭/৫ (হাফিজ ২২৪, সামি ২০, আজহার ৮৩, ইউনুস ৩৩, মিসবাহ ৫৯, শফিক ৫১*, সরফরাজ ৫১*; তাইজুল ৩/১১৬, শুভাগত ২/১১২)
খবর বিভাগঃ
খেলাধুলা
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়