ফিচার ডেস্ক : মৃত্যু তখন নিঃশ্বাস দূরত্বে। ৯৫০ জন যাত্রীর বেশির ভাগ সে দূরত্ব পর্যন্ত টিকে থাকতে পারেননি। ইটালি যাওয়ার বদলে চলে গেছেন আকাশে! মৃত্যুর ক্ষণ গোনা ওই সব যাত্রীর মধ্যে একজন বাংলাদেশিও ছিলেন। এছাড়া শিশুর সংখ্যা ৫০; এদের আবার কেউ কেউ নবজাতক। নারী ২০০ জন। ওই বাংলাদেশিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
কথা ছিল পাচারকারীরা লিবিয়া থেকে যাত্রীদের পৌঁছে দেবে ইটালি। কিন্তু কাল হয়ে দাঁড়াল মাঝখানের ভূমধ্যসাগর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রবিবার সকালের এই নৌকাডুবির ঘটনাকে ইউরোপের সবচেয়ে বড় দুর্যোগ বলা হচ্ছে। গতকাল সকালে উদ্ধার কর্মীরা মাত্র একটি শিশুকে উদ্ধার করতে পেরেছেন। শিশুটি উপুড় হয় ভেসে থাকা নৌকার ওপর পড়ে ছিল।
লাশের ওপর শিশুর হাসি!
এদিকে এত যাত্রী নিয়ে নৌকা ডুবে যাওয়ার পর, এতক্ষণে মাত্র ২৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করতে পারায় বৈশ্বিক চাপে পড়েছে ব্রিটেন। দেশটির উদ্ধার অভিযান নীতি নিয়েও সমালোচনা করছেন বিশ্বনেতারা এবং বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠন। ব্রিটেন সরকার এবং তাদের ইইউ রাজ্য গতবছর ইটালির ‘খোঁজা এবং উদ্ধার অভিযান বন্ধ’ সম্পর্কিত একটি নীতিতে সমর্থন জানায়।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, ২৪ জনের লাশ উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকারী দল। লাশগুলো রবিবার মধ্যরাতে লিবিয়ার জলসীমায় ভেসে ছিল।
সাগর থেকে বেঁচে ফেরা বাংলাদেশি উদ্ধারকারীদের জানান, নৌকায় কমপক্ষে ৯৫০ জন অভিবাসী ছিলেন। তিনিসহ প্রায় তিনশজন যাত্রী উপুড় হওয়া জাহাজ আঁকড়ে ধরে ছিলেন। উদ্ধার হওয়া ওই বাংলাদেশির নাম-ঠিকানা এখনো জানা যায়নি।
খবর বিভাগঃ
ফিচার
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়