Tuesday, April 21

ইয়েমেনের পথে আরেকটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ


আন্তর্জাতিক ডেস্ক, কানাইঘাট নিউজ: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রনতরী ইউএসএস থিয়োডর রুজেভেল্ট ইয়েমেনের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছে। ইতোমধ্যেই ইয়েমেনের সমুদ্রসীমায় আরো বেশ কয়েকটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ অবস্থান করছিল। মার্কিন যুদ্ধজাহাজগুলো মূলত ইরান যাতে দেশটির শিয়া উপজাতি হুথি বিদ্রোহীদের অস্ত্র সরবরাহ করতে না পারে সেজন্য মোতায়েন করা হয়েছে। গত সপ্তাহে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ হুথিদের উপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা জারি করার প্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপ নিল। রাশিয়ার বিরোধীতার মুখেই জাতিসংঘ ওই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। মার্কিন নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এফ/এ-১৮ জঙ্গি বিমান বহনে সক্ষম রনতরীটি ইতোমধ্যেই আরব সাগরে পৌঁছে গেছে। এর মধ্য দিয়ে ওই অঞ্চলে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি আরো জোরদার করা হবে। ইরান আটটি জাহাজ ভরে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের জন্য অস্ত্র নিয়ে আসছে এমন খবরের প্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এডেন উপসাগর ও দক্ষিণ আরব সাগরে তাদের সামরিক উপস্থিতি জোরদার করতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে। মার্কিন নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যেই ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের নয়টি যুদ্ধজাহাজ অবস্থান করছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি আরব বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ ইয়েমেনে সৌদি আরব ও জাতিসংঘ সমর্থিত প্রেসিডেন্ট আবদ রাব্বুহু মানসুর আল হাদির সমর্থক ও ইরান সমর্থিত শিয়া উপজাতি হুথি বিদ্রোহীদের গৃহযুদ্ধ শুরু হলে সৌদি আরব দেশটিতে বিমান হামলা শুরু করে। এতে ইয়েমেন এখন মধ্যপ্রাচ্যের দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী সৌদি আরব ও ইরানের ছায়া যুদ্ধ ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। সৌদি আরব ও এর উপসাগরীয় আরব মিত্র দেশগুলো হুথি বিদ্রোহীদের দমনে ইয়েমেনে বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে। গত সেপ্টেম্বরে হুথি বিদ্রোহীরা কথিত আরব বসন্তের গণজাগরনে ক্ষমতাচ্যুত ইয়েমেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট আলী আব্দুল্লাহ সালেহের নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর সহায়তায় সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে রাজধানী সানা দখল করে নেয়। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট আবদ রাব্বুহু মানসুর আল হাদি ইয়েমেন থেকে পালিয়ে সৌদি আরবে আশ্রয় নেন। এরপর থেকে গত চার সপ্তাহ ধরে ইয়েমেনে বিমান হামলা চালিয়ে আসছে সৌদি আরব।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়