Wednesday, March 25

কানাইঘাটে স্কুল ছাত্রী অপহরণের ১০ দিন পর সিলেট শহর থেকে উদ্ধার


নিজস্ব প্রতিবেদক: কানাইঘাট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী আজরা মাইশা (১৩) অপহরনের ১০দিন পর আজ বুধবার সিলেট শহর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। অপহৃত মাইশার আত্মীয় স্বজনদের উপস্থিতিতে বুধবার সকাল ১১টার দিকে সিলেট শহরের জিন্দাবাজার শুকরিয়া মার্কেটের পাশ থেকে সিলেট কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের সহায়তায় কানাইঘাট থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ রাশেদুল আলম খাঁন তাকে উদ্ধার করেন। এসময় স্কুল ছাত্রী মাইশার সাথে থাকা তার কথিত মা রওশনারা পালিয়ে যায়। উদ্ধার হওয়া মাইশাকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কানাইঘাট থানায় নিয়ে আসেন। মাইশা বর্তমানে থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। জানা যায়, উপজেলা নিজ বাউরভাগ পূর্ব গ্রামের সাউথ আফ্রিকা প্রবাসী শামীম আহমদের মেয়ে বর্তমানে কানাইঘাট পৌরসভার দুর্লভপুর গ্রামে পরিবার নিয়ে বসবাসরত স্কুল ছাত্রী মাইশাকে গত ১৫ মার্চ সকালে স্কুলে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় মনসুরিয়া মাদ্রাসা পয়েন্ট থেকে দুর্লভপুর গ্রামের মৃত ইছহাক আলীর পুত্র বাহার উদ্দিন (১৯) ও তার সহযোগীরা রাস্তা থেকে অটোরিক্সায় উঠিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রী মাইশার মা শাকিরা বেগম ১৭মার্চ বাদী হয়ে কানাইঘাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপহরণকারী বাহার উদ্দিন সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। থানার মামলা নং- ১২, তাং-১৭-০৩-২০১৫ইং। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ রাশেদুল আলম খাঁন স্কুল ছাত্রী অপহরণকারী বাহারের মা ফয়জুন নেছাকে এ ঘটনায় গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করেন। মাইশাকে উদ্ধার ও অপহরণের সাথে জড়িতদের আটক করতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান করে। অবশেষে ১০দিন পর পুলিশ স্কুল ছাত্রী মাইশাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রাশেদুল আলম খাঁন কানাইঘাট নিউজকে জানান, উদ্ধারকৃত স্কুল ছাত্রী মাইশা বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার তাকে সিওমেক হাসপাতালে ওসিসিতে ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন ও নাঃশিঃনিঃদঃ আইনের (সংশোধিত ২০০৩) ২২ ধারা সম্পন্ন সহ নিরাপদ হেফাজতে প্রদান বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করা হবে বলে জানান।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়