নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রাথমিক শিক্ষা সিলেট বিভাগের উপ পরিচালক তাহমিনা খাতুন বলেছেন, শিক্ষার মূল বুনিয়াদ প্রাথমিক পর্যায়ে শতভাগ শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষার সঠিক চিত্র শিক্ষকরা সরকারের কাছে তুলে না ধরে নানা ছলচাতুরীর আশ্রয় নেন।
তিনি আরো বলেন, সঠিক চিত্র তুলে ধরার মাধ্যমে নিজ নিজ স্কুল এরিয়ার শতভাগ শিশুদের স্কুলে ভর্তি নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষকদের আরো দায়িত্বশীল লিডারশীপ ও অভিভাবকের ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।
বুধবার বিকেল ২টায় কানাইঘাট মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মিলনায়তন হলে উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের মাসিক সমন্বয় সভা ২০১৫ এর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিলেটের নবাগত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষকদের যে কোন সমস্যা দ্রুত সমাধান করা হবে, কিন্তু সঠিক সময়ে শিক্ষকরা স্কুলে উপস্থিত না হয়ে পাঠ দানে শিক্ষার্থীদের ব্যাঘাত ঘটালে এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শিক্ষকদের পরিসংখ্যান সঠিক নয় উল্লেখ করে বলেন প্রতিটি স্কুলের ১ম শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার ব্যাপক প্রবণতা রয়েছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দিলিপ কুমার শাহার সভাপতিত্বে ও শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক খাজা আজির উদ্দিনের উপস্থাপনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তাহমিনা খাতুন সিলেট বিভাগের প্রাথমিক শিক্ষার সার্বিক চিত্র তুলে ধরে আরো বলেন, সব ধরনের সরকারী সুযোগ সুবিধা থাকার পরেও স্কুলগুলোতে শতভাগ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নেই।
অনেক স্কুল পরিদর্শনের অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করে বলেন, অধিকাংশ শিক্ষকরা সঠিক সময়ে স্কুলে উপস্থিত হন না। হাজিরা খাতায় নাম এবং ক্লাসের পাঠদানে স্বাক্ষর থাকলেও অনেক শিক্ষকরা ক্লাসে অনুপস্থিত থাকেন। এ অবস্থা থেকে শিক্ষকদের বেরিয়ে এসে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব, সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালনের আহ্বান জানান তিনি। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে উপ পরিচালক তাহমিনা খাতুন যোহরের নামায আদায় করার জন্য অনুষ্ঠানস্থল কানাইঘাট মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে গেলে স্কুলের শিক্ষিকাদের অযু ও নামাযের স্থান এবং শিক্ষার্থীদের বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা এবং স্বাস্থ্য সম্মত টয়লেট না থাকায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও স্কুল কর্তৃপক্ষকে ভর্ৎসনা করেন।
তিনি এসময় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আদর্শ স্কুলের যদি এ অবস্থা হয় তাহলে উপজেলার অন্যান্য স্কুল গুলির কি চিত্র হবে? আগামী ৩ দিনের মধ্যে যেসব স্কুলে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা এবং টয়লেট নেই ও অন্যান্য সমস্যা তুলে ধরে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দিলীপ কুমার শাহাকে নির্দেশ প্রদান করেন। সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহীন মাহবুব, কানাইঘাট প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুল লতিফ, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল আহমদ, মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক নুরুজ্জামান সহ বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকবৃন্দ।
খবর বিভাগঃ
প্রতিদিনের কানাইঘাট
শিক্ষাঙ্গন
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়