ঢাকা: বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের আন্দোলনের মধ্যেই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন করতে যাচ্ছে সরকার। নির্বাচন কমিশনও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছে।
কিন্তু এ নির্বাচন নিয়ে নগরবাসী কী ভাবছে? জানতে চাইলে লন্ড্রি ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘অনেক আশা আছিল ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোট দিমু। কিন্তু সহিংসতার কারণে ভোট দিতে পারি নাই। এবার আশা আছে পরিস্থিতি ভাল ঠেকলে ভোট দিমু।’
রাজধানী রামপুরার হাজীপাড়ায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকেন মোস্তাফিজুর রহমান। বয়স ৪৩। দীর্ঘ ৭ বছরের বেশি সময় ধরে বাস করছেন ঢাকায়। গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধায়। তিনি ঢাকা উত্তরের বাসিন্দা।
মোস্তাফিজ জানান, তিনি গাইবান্ধার ভোটার ছিলেন। দীর্ঘ ৭ বছর ধরে ঢাকায় থাকার সুবাদে তিনি ঢাকা উত্তরে ভোটার হয়েছেন। তিনি এবার সিটি নির্বাচনে ভোট দেবেন।
এটা তো দলীয় নির্বাচন নয়। তারপরও বিরোধীদলের আন্দোলনের মুখে বর্তমান পরিস্থিতিতে ডিসিসি নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছেন? জবাবে তিনি বলেন, ‘আসলে আমরা কম বুঝি। এটা কোন দলের নির্বাচন না জানি। কে নির্বাচনে আইব কি আইবো না, কার কথায় নির্বাচন হইবো কি হইবো না এসব বিষয়ে আমরা তেমন কিছু জানি না। তয় আমরা ভালো থাকতে চাই।’
মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে কথা বলতে বলতে তার দোকানে ভিড় জমে গেল।
মোস্তাফিজুরের সঙ্গে আলাপ শুনে ভিড়ের মধ্য থেকে একজন বললেন, ‘আপা, নির্বাচন না হলে তো সমস্যা। যদি নির্বাচন না হয় তাহলে যেকোন গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য আমরা যাব কোথায়? এই যে এখানে থাকতেছি। তার একটা সার্টিফিকেট আনতে গেলে আমরা যাব কই?
তার সঙ্গে আরেকজন সায় দিয়ে বলেন, ‘হা, আমরা তো নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। কোন কাজ করতে নানা হয়রানির শিকার হতে হয়। নির্বাচন হলে তো আমরা দেখে শুনে ভালো জনকে ভোট দিতে পারি, তারা কিছুটা হলেও আমাদের হয়রানি কম করে। কিন্তু এখন তো নিজেদের দলের লোকদের দিয়ে কাজ চালাইতেছে।
ডিসিসি নির্বাচন হলে ভোট দিতে যাবেন কিনা জানতে চাইলে মোস্তাফিজুর বলেন, ‘ইচ্ছা তো আছে ভোট দেয়ার। তবে যদি ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু হয় তাইলে যাবো। কিন্তু পরিবেশ যদি ভালো না থাকে, ৫ জানুয়ারির মতো মারামারি-কাঁটাকাটি হয়, সহিংসতা হয়, তাইলে যাবো না। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ সরকারকেই ফিরিয়ে আনতে হবে বলে তিনি যোগ করেন।
খবর বিভাগঃ
রাজনীতি
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়