Sunday, March 15

পাপমুক্ত জীবনের অঙ্গীকার


ইসলাম ডেস্ক: মানুষ মাত্রই ভুল করে। মানবীয় দুর্বলতার কারণে পাপকাজে জড়িয়ে যাওয়া মানুষের প্রকৃতিগত অভ্যাস। দুনিয়াতে একমাত্র নবী-রাসুলেরা ছাড়া আর কেউই নিষ্পাপ নন। তবে পাপ কাজ করে তাতে অটল থাকা যাবে না। আল্লাহর প্রিয় বান্দার কোনো ভুল-ত্রুটি হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তওবা করে নেন। নিজের কৃত অপরাধের জন্য ক্ষমা চান। এই তওবা ও ইস্তেগফারই হলো মুমিনের নাজাত লাভের উপায়। কোনো বান্দা যখন পাপ করে অনুতপ্ত হয় এবং কাতরকণ্ঠে ক্ষমা প্রার্থনা করে তখন আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন। বান্দার এই কাতরতা আল্লাহর কাছে খুবই প্রিয়। আর যারা গোনাহ করার পরও তাতে অটল থাকে তাদের প্রতি ক্ষুব্ধ হন আল্লাহ। আর আল্লাহর ক্ষুব্ধতা কারো ওপর প্রকাশ হয়ে গেলে তার দুনিয়া-আখেরাত উভয়ই ধ্বংস। তওবার পদ্ধতি হলো অতীতের গোনাহের জন্য অনুতপ্ত হয়ে ভবিষ্যতে সে অন্যায় আর কখনো না করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। যারা এমনভাবে তওবা করে আল্লাহর ক্ষমার বর্ষণে তারাই সিক্ত হয়। শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে যদি কেউ বারবার গোনাহে জড়িয়ে পড়েন আর বারবার তওবা করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন আল্লাহ তায়ালা তাকেও ক্ষমা করে দেবেন। তিনি তো মহা ক্ষমাশীল। পাপ যত বড় হোক, যত বেশি হোক, তার রহমত ও অনুগ্রহ, দয়া ও ক্ষমার তুলনায় তা মোটেও বড় নয়। বান্দা যখন তার কাছে ক্ষমা চেয়ে হাত বাড়ায়, তিনি তাতে অত্যন্ত খুশি হন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘কোনো বান্দা যখন আল্লাহর কাছে তওবা করে, তখন তিনি তার তওবায় মরুভূমিতে উট হারিয়ে ফিরে পাওয়া ব্যক্তিটির চেয়েও বেশি খুশি হন। হাদিসে আছে, রাসুল (সা.) দৈনিক একশবার তওবা করতেন। যার জীবনে কোনো গোনাহের লেশমাত্রও ছিল না তিনি যদি দিনে একশ বার তওবা করতে পারেন তাহলে আমাদের মতো পাপী বান্দাদের কতবার তওবা করা উচিত সেটা প্রত্যেকে নিজেই বিবেচনা করুন। কোরআনের বিভিন্ন স্থানে আল্লাহ বলেছেন, 'তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর, নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল।’ আল্লাহর প্রিয় বান্দারা কখনো কোনো পাপ নিয়ে বসে থাকেন না, সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর দ্বারস্থ হন, তার কাছে নিঃশর্তভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। প্রত্যেক মুসলমানের উচিত সবসময় আল্লাহর কাছে বেশি বেশি তওবা করা।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়