Tuesday, March 17

ইসরাইলে সাধারণ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: ইসরাইলে টানা নয় বছর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় থাকার পর হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাম্রাজ্য। দেশটিতে অনুষ্ঠিতব্য মঙ্গলবারের নির্বাচনে হেরে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে তার দল লিকুদ পার্টির। টানা তিনবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়া নেতানিয়াহু তৃতীয় মেয়াদে জোট ভাঙার উপক্রম হওয়ায় এক বছরের মাথায়ই নির্বাচনের ঘোষণা দেন। এর আগে দুইবার চার বছর করে মেয়াদ পূর্ণ করেছিলেন তিনি। জনপ্রিয়তা অটুট থাকা অবস্থায় আগাম নির্বাচনের আয়োজন করে আবারও ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখা নেতানিয়াহুর জন্য এটা বেশ দুরূহই মনে হচ্ছে। তার বিরোধী মধ্য-বাম জোট নির্বাচনী দৌড়ে বেশ এগিয়ে রয়েছে। আইজ্যাক হেরজগ (৫৪) ও জিপি লিভনির মধ্য-বামপন্থী জোট এবার বেশ আঁটঘাট বেঁধেই নেমেছে। কয়েক মাস আগে নেতানিয়াহুর সমালোচনা করায় উভয়ে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কৃার হন। এর পরেই জোট ভাঙার হুমকিতে পড়ে ক্ষমতাসীন নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা আসে। মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কৃত ওই দুই নেতাই নেতানিয়াহুর জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন লেবার পার্টির নেতা হেরজগ। দেশটিতে পরিচালিত বেশ কয়েকটি জরিপে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। জরিপের ফলাফল ভোটের ক্ষেত্রেও বজায় থাকলে এককভাবে সরকার গঠন করতে পারবে না কোনো দলই। এ ক্ষেত্রে হেরজগকে জোট করতে হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সরকারে কিছুটা প্রভাব থাকবে লিকুদ পার্টিরও। হেরজগ-লিভনি অবশ্য পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছেন। ফিলিস্তিন ও ইরান ইস্যুতে নেতানিয়াহুর একগুঁয়েমি এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্টের বিষয়টি তুলে ধরে প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা। ক্ষমতায় এলে এ সব সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা। উভয় পক্ষই সোমবার তাদের সর্বশেষ প্রচারণা চালিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত হেরজগ না নেতানিয়াহু কে আসছেন ক্ষমতায়— তা নির্ভর করছে ইসরাইলের জনগণের ওপর। কট্টর ইহুদিপন্থী নেতানিয়াহু না অপেক্ষাকৃত উদার হেরজগ কে হচ্ছেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী তা জানা যাবে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতেই।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়