Saturday, March 28

ফেলানী হত্যার পুনঃবিচার কাজ পেছালো তিন মাস


কুড়িগ্রাম: ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে প্রাণ হারানো ও কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখা বহুল আলোচিত কিশোরী ফেলানী হত্যার পুনঃবিচারিক কার্যক্রম তিন মাস পাঁচ দিন (৯৬দিন) পেছানো হয়েছে। শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন। চার মাস ধরে মুলতবি থাকার পরে গত ২৫ মার্চ ভারতের কোচবিহারে বিএসএফের বিশেষ আদালতে বিচার কাজ শুরু হয়। তবে ওইদিন বিএসএফের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অসুস্থ থাকায় পুনঃবিচারিক কার্যক্রম পেছনো হয়। অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন বলেন, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত পুনঃবিচারিক কার্যক্রম আবারো মুলতবি করা হয়েছে। তিনি জানান, পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ২৫ মার্চ বিএসএফের আধিকারী সিপি ত্রিবেদীর নেতৃত্বে ৫ সদস্যের বিচারিক প্যানেল কার্যক্রম শুরু করেন। কিন্তু বিশেষ ওই আদালতের সহকারী প্রসিকিউটর অসুস্থ্য থাকায় বিচারিক কার্যক্রম ওইদিনের মতো মূলতবি ঘোষণা করা হয়। এরপর ২৬ মার্চ পুনরায় আদালত বসলেও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অনুপস্থিত থাকায় আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বিচারিক কার্যক্রম মুলতবি করা হয়। এর আগে গেল বছরের ২২ নভেম্বর বিএসএফের বিশেষ আদালতে বিচারিক কাজ চলার সময় অভিযুক্ত অমিয় ঘোষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এতে চার মাসের জন্য বিচারিক কার্যক্রম মুলতবি করা হয়। আদালতের ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৫ মার্চ পুনরায় বিচারিক কার্যক্রম শুরুর তারিখ ঘোষণা করা হয়। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া পার হওয়ার সময় বিএসএফ’র গুলিতে নির্মমভাবে প্রাণ হারায় কিশোরী ফেলানী। এ হত্যাকাণ্ডে দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমসহ মনবাধিকার কর্মীদের মাঝে সমালোচনার ঝড় উঠলে ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট বিএসএফের বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যার বিচার কাজ শুরু হয়। ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেয় ভারতের কোচবিহারের বিএসএফের বিশেষ আদালত। পরে বিজিবি-বিএসএফের দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে ফেলানী হত্যার পুনঃবিচারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সে অনুযায়ী ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পুনঃবিচার শুরু করে বিএসএফ।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়