Tuesday, March 3

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ইসলামের গুরুত্ব


ইসলাম ডেস্ক, কানাইঘাট নিউজ: মানুষের স্বাস্থ্য সচেতনায় ইসলাম গুরুত্বারোপ করেছে। কেননা ইবাদত করতে গেলে শরীর সুস্থ রাখা জরুরি। আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদত করার জন্য। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ না থাকলে ইবাদতে করা কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে ইসলামে শারীরিক ও মানসিকভাবে মুমিনরা যাতে সুস্থ থাকে সে ব্যাপারে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। রসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন,‘দুর্বল মুমিনের তুলনায় সবল মুমিন অধিক কল্যাণকর ও আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়। তবে উভয়ের মধ্যেই কল্যাণ রয়েছে।’ (মুসলিম) ইসলাম সুস্থ থাকার জন্য স্বাস্থ্য পরিচর্যাকে গুরুত্ব দিয়েছে। অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা গ্রহণের চেয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে সুস্থ থাকাকে ইসলাম উৎসাহিত করেছে। রসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন ‘কিয়ামতের দিন বান্দাকে নিয়ামত সম্পর্কে সর্বপ্রথম যে প্রশ্নটি করা হবে তা হলো তার সুস্থতা সম্পর্কে। তাকে বলা হবে আমি কি তোমাকে শারীরিক সুস্থতা দিইনি।’ (তিরমিজি) মানুষ অসুস্থ হলে যাতে চিকিৎসা গ্রহণ করে সে ব্যাপারে রসুলুল্লাহ (সা.) অনুসারীদের উৎসাহিত করেছেন। তিনি নিজে অসুস্থ হলে চিকিৎসা গ্রহণ করতেন। রসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘হে আল্লাহর বান্দাগণ! তোমরা চিকিৎসা গ্রহণ কর, কেননা মহান আল্লাহ এমন কোনো রোগ সৃষ্টি করেননি, যার প্রতিষেধক তিনি সৃষ্টি করেননি। তবে একটি রোগ আছে যার কোনো প্রতিষেধক নেই, সেটি হলো বার্ধক্য।’ (আবু দাউদ) ইসলামে রোগাক্রান্ত হলে চিকিৎসা নেওয়ার তাগিদ দেওয়া হলেও হারাম জিনিসকে ওষুধ হিসেবে ব্যবহারে নিষেধ করা হয়েছে। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহতায়ালা রোগ দেন, রোগের প্রতিষেধকও নাজিল করেছেন। প্রতিটি রোগের চিকিৎসা রয়েছে। সুতরাং তোমরা চিকিৎসা গ্রহণ কর তবে হারাম দ্রব্য দ্বারা চিকিৎসা নিও না।’ তিনি আরও ইরশাদ করেছেন, ‘হারাম বস্তুতে আল্লাহতায়ালা তোমাদের জন্য আরোগ্য বা রোগমুক্তি রাখেননি।’(জাদুল মাআদ) চিকিৎসা সম্পর্কে ইসলামের গাইডলাইন হলো রোগ অনুযায়ী চিকিৎসা করা। রসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, রোগ অনুযায়ী চিকিৎসা হলেই আল্লাহর হুকুমে আরোগ্য হয়। (মুসলিম) আল্লাহ আমাদের সবাইকে সুস্থ থাকা এবং রোগাক্রান্ত হলে চিকিৎসার মাধ্যমে আরোগ্য লাভের তাওফিক দান করুন।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়