ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই। মৃত্যু পরোয়ানা নিয়ে তিনি দিব্যি আছেন।
তবে মাঝে মধ্যে তাকে মৃত্যু চিন্তায় পেয়ে বসে, বেশ বিষন্ন দেখায়। রিভিউ আবেদন করার পর তার মধ্যে কিছুটা স্বস্তিরভাব ফুটে উঠেছে।
তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ৮ নম্বর সেলে একাই থাকেন। মঝে মধ্যেই তিনি কাগজ কলম নিয়ে বসে পড়েন। দীর্ঘ সময় ধরে লিখতে থাকেন। কী যেন লিখেই চলেছেন। সাধারণ কয়েদিদের মতো সব সুযোগ সুবিধাই তিনি পাচ্ছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হওয়ার কারনে তার ডিভিশন বাতিল হয়ে গেছেন আগেই। প্রতিদিন ফজরের আগেই ঘুম থেকে ওঠেন তিনি। ফজরের নামাজের পড়ে তিনি কোরআন শরিফ পড়েন। সকালে নাস্তা শেষে কারাগারের নিজরুমে বসে কাগজ কলম নিয়ে লিখতে বসেন।
তবে কামারুজ্জামান কী লেখেন সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। কয়েকদিন আগে তিনি কারাগারে পরিবারের সদস্য ও আইনজীবীদের সাথে সাক্ষাত করেছেন। সে সময়ও তাকে মোটেও বিচলিত মনে হয়নি।
কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কামারুজ্জামান কেমন আছেন জানতে চাইলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিাফোর ডটকমকে বলেন, কারাগারে তিনি ভালোই আছেন। তিনি কিছু লেখার জন্য কাগজ কলম চেয়েছেন। তা এখনো পর্যন্ত তাকে দেওয়া হয়নি। হয়ত আগামী সপ্তাহে তাকে কাগজ কলম দেওয়া হবে।
একাত্তরে ময়মনসিংহ অঞ্চলের আল বদরপ্রধান কামারুজ্জামানকে মানবতাবিরোধী অপরাধে গত বছরের ৯ মে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
জামায়াতে ইসলামীর এই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে গত ৩ নভেম্বর আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায়েও তার মৃত্যুদন্ড বহাল থাকে।
পরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল তার মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে তা কারাগারে পাঠায়। ওই মৃত্যু পরোয়ানার পড়ে শোনানো হয় কামারুজ্জামানকে। আপিল বিভাগের পুর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর তা পুর্নর্বিবেচনার জন্য কামারুজ্জামানের আইনজীবীরা ইতোমধ্যে রিভিউ আবেদন করেছেন।
রিভিউ আবেদন খারিজ হলে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করবে সরকার।
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়