Monday, March 2

শিশুর জন্য কাকের উপহার


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: বহু মানুষই পাখি ভালোবাসেন। বিশেষ করে তার নিজের বাগানের পাখি। কিন্তু সবাই সেই ভালোবাসার প্রতিদান পায় না। সিয়াটলের আট বছরের একটি শিশু সেদিক থেকে অনেক বেশি ভাগ্যবান। নিয়মিত খাবার দেয়ার প্রতিদানে কাকের কাছ থেকে অনেক উপহার পেয়েছে সে। একদিন গ্যাবি ম্যান তার ডাইনিং টেবিলে মুখ খোলা একটি বাক্স রাখলো, আর তা থেকেই বেরিয়ে আসলো তার দামি সব সংগ্রহ। এগুলো সে উপহার পেয়েছে তার বাগানের কাকগুলোর কাছ থেকে। বেশ কয়েকটি কানের দুল, জেমস ক্লিপ, বোতাম, এবড়ো থেবড়ো পাথর, একটি হলুদ পুঁথি, এক টুকরো ম্লান কালো ফোম হাড়ের টুকরো, নাট বল্টু, মার্বেল-এমন চমৎকার সব উপহারে ঠাসা গ্যাবির সংগ্রহশালা। উপহারগুলোর বেশিরভাগই ময়লা এবং দাগে ভরা কিন্তু এই দামি সংগ্রহশালা উন্মোচন করেই তার ছোট ভাইকে সবসময় একটি সতর্কবাণী দেয় সে, “কাছে থেকে দেখতে পারে কিন্তু ছোঁবেনা কিন্তু”।শিশুর জন্য কাকের উপহার কৌটার ভিতরের সারিবদ্ধ বস্তুগুলো প্লাস্টিক ব্যাগের রাখা। সেগুলোর উপর কাকের নাম সহ উপহারের নাম ও উপহার দেয়ার সময় এবং তারিখ উল্লেখ রয়ছে। প্রতিটি উপহারই কাকের কাছ থেকে পাওয়া এবং এসব উপহার গ্যাবির কাছে সোনার চেয়ে দামি। প্রতিবেশী এ কাকগুলোর সাথে তার সম্পর্কের সূত্রপাত হয় ২০১১ সালে যখন সে মাত্র চার বছরের শিশু। ওই সময় তার হাত থেকে খাবার পড়ে যেতো। তাই যখনি সে গাড়ী থেকে নামতো তখনি তার কোল থেকে খাবার পড়তো মাটিতে। কাক সেগুলো দেখলেই ছুটে আসতো। আর একসময় কাকেরা অপেক্ষা করতে শুরু করলো কখন গ্যাবি আসবে, গাড়ী থেকে নামবে আর তার কোল থেকে খাবার পড়বে মাটিতে এবং সেগুলো তারা খাবে। একটু বড় হতে হতে বিষয়টি নজরে পড়ে ছোট্র গ্যাবির। সে বাসস্টপে যাওয়ার সময় তার লাঞ্চের কিছুটা কাকের জন্য রেখে যেতে শুরু করে। আসলে লাঞ্চের বেশিরভাগ টুকুই কাকদের জন্য বরাদ্দ করতে থাকে সে। পরে তার ভাইও তার সাথে যোগ দেয়। পরে দেখা গেলো গ্যাবির বাসের জন্য লাইন ধরে বসে আছে কাকগুলো যার অর্থ আরও একবার খাবার পাবে তারা। বাসার সামনের টেলিফোন লাইনের তারের উপর বসতো কাকগুলো এবং অনেক সময় খাবার নিয়ে জোরে ডাক দিলেই তারা হাজির হতো গ্যাবির কাছে। পরে দেখা গেলো কাক মাঝে মধ্যে পা বা মুখে করে নিয়ে আসছে ছোট ছোট নানা উপহার। গ্যাবির দাবি তার কাছে কাকের এমন উপহারও রয়েছে যার উপর লেখা ছিল “ফ্রেন্ড”। গ্যাবির মা বলছিলেন, “লাঞ্চ কাককে দেয়ায় খুশি হয়েছি কারণ প্রাণীর জন্য তাদের ভালোবাসা আছে ও তারা শেয়ার করতে শিখছে”। সূত্র: বিবিসি বাংলা

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়