নিজস্ব প্রতিবেদক:
কানাইঘাট থানা পুলিশ আজ রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার দিঘীরপার ইউপির ব্রাহ্মণগ্রাম সংলগ্ন হাওর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় বোমা তৈরির সরঞ্জাম, ৮টি শক্তিশালী ডেটেনেটর এবং ৮টি এক্সক্লুসিভ নিওজেল ৯০ বিষ্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করেছে। বিষ্ফোরক দ্রব্য উদ্ধারের বিষয়টি কানাইঘাট নিউজ প্রতিবেদক জানতে পেরে রাত ৭টার দিকে থানায় উপস্থিত হয়ে এ ব্যাপারে কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তিনি জানতে পারেন দিঘীরপার ইউপির ব্রাহ্মণগ্রাম সংলগ্ন হাওর এলাকার একটি কেয়া বনে শক্তিশালী বিষ্ফোরক দ্রব্য পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। জানার সাথে সাথে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে একদল পুলিশ নিয়ে হাওর এলাকায় তল্লাশী চালিয়ে কেয়া বনের জঙ্গল বেষ্টিত স্থান থেকে পলিথিনে মুড়ানো ৮টি ডেটেনেটর ও ৮টি নিওজেল বিষ্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করেন। এরপর বিষয়টি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হলে সিলেট উত্তর সার্কেলের সিনিয়র এএসপি মহি উদ্দিন মাহমুদ সোহেল রাতে কানাইঘাট থানায় আসেন। প্রাথমিক ভাবে সুরইঘাট বিজিবি ক্যাম্পের কম্পানি কমান্ডার আখতার হোসেন উদ্ধারকৃত শক্তিশালী বিষ্ফোরক দ্রব্য পরীক্ষা করেন। এ ব্যাপারে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি কানাইঘাট নিউজকে জানান, উদ্ধারকৃত বিষ্ফোরক দ্রব্য বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন। তারাই বলতে পারবেন এগুলি কতটুকু শক্তিশালী বা আসল না নকল। উদ্ধারকৃত ডেটেনেটর ও নিওজেল ৯০ বিষ্ফোরক দ্রব্যগুলি ভারতীয় আমিন এক্সকুসিভ প্রাইভেট লিমিটেডের তৈরী। ওসি আব্দুল আউয়াল চৌধুরী জানান, নাশকতা মূলক কর্মকান্ড ও এলাকায় আতংক ছড়ানোর জন্য দুর্বৃত্তরা এগুলো আনতে পারে। তা অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে বের করার পাশাপাশি উদ্ধারকৃত বিষ্ফোরকের মেয়াদ আছে কি না এবং এগুলো কতটুকু শক্তিশালী তা বোমা বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যাবে। উদ্ধারকৃত বিষ্ফোরক থানা হেফাজতে রয়েছে বলে তিনি জানান। দিঘীরপার ইউপি চেয়ারম্যান আ’লীগ নেতা আব্দুল মুমিন চৌধুরী জানান, কানাইঘাট থানা পুলিশ কর্তৃক বিষ্ফোরক দ্রব্য উদ্ধারের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। স্থানীয় জনসাধারণ এ ব্যাপারে অবগত নয়। উদ্ধারের পর বিষয়টি তিনি থানা পুলিশের কাছ থেকে জানতে পেরেছেন।
খবর বিভাগঃ
প্রতিদিনের কানাইঘাট
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়